শনিবার, জুলাই ০৫, ২০১৪

গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন রদ্রিগেজ


কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে দিতে পারবে, এমন প্রত্যাশা হয়তো খুব বেশি ছিল না কলম্বিয়ার সমর্থকদের। তার ওপর আবার ইনজুরির কারণে শুরু থেকেই ছিলেন না দলের প্রধান খেলোয়াড় রাদামেল ফ্যালকাও। তারপরও কলম্বিয়া প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছিল ২২ বছর বয়সী এক তরুণ ফুটবলারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে। যাঁর দ্যুতির কাছে অনেক জায়গাতেই ম্লান হয়ে গেছেন মেসি-নেইমারদের মতো সর্বজনস্বীকৃত তারকারাও।
ফুটবল বিশ্বের সেই নতুন তারা আজ বিদায় নিলেন বিশ্বকাপ থেকে। কলম্বিয়ার হারের সঙ্গে সঙ্গে থেমে গেল জেমস রদ্রিগেজেরও বিশ্বকাপ যাত্রা। কিন্তু রদ্রিগেজ কি সত্যিই বিদায় নিলেন বিশ্বকাপ থেকে? কাগজে-কলমে এখনও সদর্প উপস্থিতি থেকেই যাচ্ছে কলম্বিয়ার এই উইঙ্গারের।
কলম্বিয়ার ম্যাচ আর রদ্রিগেজের গোল যেন সমার্থক শব্দই হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপের টানা পাঁচটি ম্যাচে গোল করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন এই কলম্বিয়ান উইঙ্গার। এবারের বিশ্বকাপে আর কেউই এমনটা করতে পারেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বশেষ এমনটা করেছিলেন রিভালদো। ২০০২ সালে। পাঁচ ম্যাচ শেষে রদ্রিগেজ করেছেন ছয়টি গোল। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুইটি গোল। দ্বিতীয় রাউন্ডে উরুগুয়ের বিপক্ষে তাঁর দুর্দান্ত ভলিটি হয়তো জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই নান্দনিক গোলগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে এখন পর্যন্ত মেসি-নেইমার-মুলারদের চেয়েও এগিয়ে আছেন রদ্রিগেজ। পাঁচ ম্যাচ শেষে নেইমার-মুলার করতে পেরেছেন চারটি গোল। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি চারটি গোল করেছেন এক ম্যাচ কম খেলে। ডাচ আক্রমণভাগের প্রধান দুই সেনানি আরিয়েন রোবেন ও রবিন ফন পার্সি তিনটি করে গোল করেছেন মেসির মতো চার ম্যাচ খেলে। শেষপর্যন্ত হয়তো এঁদের মধ্যেই কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেন রদ্রিগেজকে। তবে যতক্ষণ সেটা না ঘটছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তো কলম্বিয়ান এই ফুটবলার বিশ্বকাপে থেকেই যাচ্ছেন!