ফের ভুল পথে হাঁটছে বিএনপি। নতুন করে আন্দোলনের কথা বলছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় প্রতিদিনই ‘ইফতার রাজনীতি’তে যোগ দিয়ে বলছেন ঈদের পরই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। এবার আর রক্ষা নেই। ‘গণদুশমন’ এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি এই আহ্বান অথবা হুঙ্কার ছাড়তেই পারেন। কিন্তু নিকট অতীতের ব্যর্থতাগুলোর কি হবে? এগুলোর কি কোন পর্যালোচনা বা মূল্যায়ন হয়েছে। যত দূর জানা যায়, এ রকম কোন উদ্যোগও নেয়া হয়নি। এমন কি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও এ নিয়ে কোন মূল্যায়ন বৈঠকে মিলিত হননি। ভুলে ভরা ছিল নিকট অতীতের আন্দোলন। নির্বাচন ঠেকানোর কোন চেষ্টাই সফল হয়নি। সরকার তার পথেই এগিয়েছে। জনগণ নির্বাচন থেকে দূরে ছিল এটা ঠিক। কিন্তু রাজনীতির কৌশলের কাছে হেরে বুঁদ হয়েছে বিএনপি। এখনও সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। মামলায় জড়িয়ে আছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা ঝুলছে। আন্দোলন করবেন কি, নেতাদের বেশির ভাগ সময় কাটে কোর্টের বারান্দায়। পুরনো মামলা সচল করে নেতাদের কাবু করে রাখা হয়েছে। আবার নড়াচড়া করলে জেলের দরজা খুলে যাবে। অসংখ্য নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জেল আর গুমের আতঙ্কে। এ সবের মধ্যে আন্দোলনের ডাক কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে বিএনপির ভেতরেই নানা প্রশ্ন। স্থায়ী কমিটির দুই-তিনজন ছাড়া সবাই বলছেন আল্লাহ পানা। কারণ, শেষ বয়সে আর কতবার জেলে যাবেন। সরকার মামলা করতে কসুর করছে না। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টে গেছে। অতীতে এ ভাবে কোন দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে পাইকারিভাবে মামলা হয়নি। প্রশাসন এক্ষেত্রে এগিয়ে। পুলিশের ভূমিকা সবার জানা। অন্য নেটওয়ার্কগুলো সচল। নির্বাচনে যাবো না বলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কম মূল্য দিতে হয়নি। এখনও দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতেও দিতে হবে। নিজের বেগমের কাছ থেকে কত অপমান যে সইতে হচ্ছে। কে ভেবেছিল রওশন প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করবেন। কেউ কেউ হয়তো বলবেন হাওয়া বদলে গেছে। সব সময় তো একভাবে চলে না। এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু হিসাব তো মেলাতে হবে। কেন ২৯শে ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মার্চ’ সফল হয়নি। নেতারা কোথায় ছিলেন। তাদের ফোন কেন বন্ধ ছিল। এসএমএস বার্তায় কি ছিল, যা পেয়ে নেতাকর্মীরা গাঢাকা দিয়েছিলেন। শত নির্যাতন-নিপীড়ন-ভয়ভীতি উপেক্ষা করে যেসব নেতাকর্মী ঢাকায় এসেছিলেন তাদের খোঁজ কেউ নেননি কেন? দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব যখন বোরকা পরে চলাফেরা করছিলেন তখন অনেকেই আশাবাদী হয়েছিলেন। কিন্তু যখন দেখা গেল তার ফোন বন্ধ, তখন নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে একটি দল যে চলে না তার তো প্রমাণ দেখা গেল এই সেদিন। জেলা কমিটি গঠনের উদ্যোগ কেন বন্ধ হয়ে গেল তা নিয়ে নানা যুক্তি শোনা যায়। আসল কারণ হচ্ছে কেউই এখন নেতৃত্বে আসতে চাইছেন না। তাদেরকে ভয় আর আতঙ্কে পেয়ে বসেছে। হরতাল-অবরোধে বাংলাদেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন আন্দোলন আর কখনও হয়নি। তারপরও ফলাফল আসেনি। এর অনেক কারণ। প্রথম যে কারণের কথা বিএনপি নেতারা বলেন, তা হচ্ছে ভারতের কংগ্রেস সরকারের একতরফা সমর্থন। দুনিয়া একদিকে ভারত অন্যদিকে। আখেরে ভারতই এখানে জয়ী হয়েছে তাদের স্বার্থে। এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয় ভারত কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মোদি সরকার এখন কি পদক্ষেপ নেয় তা দেখার বিষয়। সামপ্রতিক কতিপয় পদক্ষেপ অনেককে আশাবাদী করেছে। যেমন বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা ৬০ ভাগ কমিয়ে দিয়েছে দেশটির নতুন সরকার। যেখানে অন্য প্রতিবেশীদের সাহায্য বাড়িয়ে দিয়েছে সেখানে বাংলাদেশের বেলায় কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে শাসক মহলে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। বিরোধী শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যাতে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে না পারেন সে জন্য সরকার সবরকম কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিল। মোদি প্রশাসন তাতে কান দেয়নি। অবশ্য সুষমার সঙ্গে খালেদার বৈঠকের টিভি ফুটেজ দেখা যায়নি কোথাও।
বিএনপি নেতারা এখন স্বীকার করেন হেফাজতের ওপর তাদের এতটা নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হয়নি। সরকার ও বিরোধীপক্ষের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়ে আন্দোলন থেকে কেটে পড়ে হেফাজত। ফায়দা তোলে সরকার। জামায়াতে ইসলামী মাঝপথে নিজেদেরকে দূরে রেখেছে। এটা নাকি তাদের কৌশল। নেতাদেরকে যুদ্ধাপরাধ মামলা থেকে বাঁচানোর। তারা যে কিছুটা সফল তার প্রমাণ তো খালি চোখেই দেখা যায়। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সোচ্চার গণজাগরণ মঞ্চকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরাও নীরব নিথর হয়ে গেছেন। মাঝে মধ্যে টকশোতে কিছু বয়ান শোনা যায়। উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের ভাল ফল করার পেছনে সরকারের সঙ্গে এক অঘোষিত সমঝোতার আলামত দেখা যায়। বিএনপিকে মাইনাস করে জামায়াতকে সামনে আনার কৌশল এখানে প্রবল। কিছুটা কাজ হয়েছে এই কৌশলে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। জামায়াত নেতারা বলেন এটা আমাদের নয়, সরকারের প্রয়োজনেই হয়েছে। তবে তারা এক বাক্যে বলেন, সমঝোতা-টমঝোতা কিছু না। সবই বাজে কথা। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে চালু করা যুদ্ধাপরাধ মামলাগুলোতে হঠাৎ করেই যেন শ্লথগতি এসে গেল। আন্তর্জাতিক শক্তি বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়া এখনও সবাইকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে সোচ্চার। তারা কত দিন এভাবে বলবেন? এখানে তো ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থানগত কিছু স্বার্থ রয়েছে। সরকার পূর্বমুখী নীতি গ্রহণ করে পশ্চিমাদের বোঝাতে চাইছে তাদের না হলেও চলবে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে যখন বলা হয়- আমাদের জিএসপির দরকার নেই, তখন বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় সরকার কোনদিকে হাঁটছে। বা কি চাইছে। সরকারের হাতে অনেক কিছু দেয়ার আছে। বিরোধীরা এখন কি দেবে। ভবিষ্যতে এলে হয়তো পাওয়া যেতে পারে। এটা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। চীন কেন বিগড়ে গেল বিএনপি কি সেটা খতিয়ে দেখেছে। আমার ধারণা তা দেখেনি। চীনকে উপেক্ষা করে তাইওয়ানের ট্রেডমিশন চালু করার পেছনে কোন কূটনৈতিক স্বার্থ ছিল না। কতিপয় ব্যক্তির সুবিধাপ্রাপ্তি ছাড়া। বিগত আন্দোলনের সময় ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। এর মধ্যে কারা কতটুকু করেছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু বিএনপির তরফে এসব নিয়ে সোচ্চার কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। কেউ নিন্দাও জানাননি। বরং অনেক ক্ষেত্রে উৎসাহ যুগিয়েছেন। সরকার যে অনেক ক্ষেত্রে এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছে তা বিএনপি নেতাদের মুখ থেকে কিছু বক্তৃতায় শোনা গেছে। নীতিগত অবস্থান ছিল অনুপস্থিত। এখন আন্দোলনের কথা বলতে না বলতেই শাসক দলের নেতারা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন পুরনো ফাইল খুলে। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল অনেক। কবুল করুন আর না-ই করুন এটা স্বীকার করতে হবে ভুল ছিল আন্দোলনের নীতি-কৌশলে। নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেক কথা আছে দলটির ভেতরে। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলটি বলতে পারতো আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চাই। তখন আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সরকারের পক্ষে কিছু বলার থাকতো না। অতীত রাজনীতি কি বলে? সেনাশাসকদের অধীনেও শেখ হাসিনা বারবার নির্বাচনে গিয়েছেন। তিনি জানতেন ফলাফল কি হবে। ২১ বছর তাকে লড়াই করতে হয়েছে এভাবে। খালেদা নির্বাচনমুখী হলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হতো কিনা তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি রয়েছে। পর্দার আড়ালের খবরাখবর রাখেন এমন কিছু সূত্রের ইঙ্গিত ছিল অন্য কিছু হয়ে যাবে। এতে বেগম জিয়া লাভবান হবেন না। এ কারণে নাকি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল বিএনপি। জামায়াত এখানে অন্য কৌশল নিয়েছিল। বিএনপির মূল দুর্বলতা কি? সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল? নাকি অন্য কিছু। দলের ভেতরে বলাবলি আছে, ‘কাছের লোকেরা’ নাকি যতসব অনিষ্টের মূল। তারা মুহূর্তের মধ্যেই সব কিছু ফাঁস করে দেয়। কার্বনকপি পাঠিয়ে দেয় জায়গামতো। শীর্ষ নেতারা জেনেও না জানার ভান করেন। কারণ তারাই এখন শক্তিশালী। ‘আমলা নেটওয়ার্ক’ও নানামুখী তৎপরতার সঙ্গে লিপ্ত। তারা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে এমন কথা তো প্রায়ই শোনা যায়।
বিএনপি নেতারা এখন স্বীকার করেন হেফাজতের ওপর তাদের এতটা নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হয়নি। সরকার ও বিরোধীপক্ষের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়ে আন্দোলন থেকে কেটে পড়ে হেফাজত। ফায়দা তোলে সরকার। জামায়াতে ইসলামী মাঝপথে নিজেদেরকে দূরে রেখেছে। এটা নাকি তাদের কৌশল। নেতাদেরকে যুদ্ধাপরাধ মামলা থেকে বাঁচানোর। তারা যে কিছুটা সফল তার প্রমাণ তো খালি চোখেই দেখা যায়। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সোচ্চার গণজাগরণ মঞ্চকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরাও নীরব নিথর হয়ে গেছেন। মাঝে মধ্যে টকশোতে কিছু বয়ান শোনা যায়। উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের ভাল ফল করার পেছনে সরকারের সঙ্গে এক অঘোষিত সমঝোতার আলামত দেখা যায়। বিএনপিকে মাইনাস করে জামায়াতকে সামনে আনার কৌশল এখানে প্রবল। কিছুটা কাজ হয়েছে এই কৌশলে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। জামায়াত নেতারা বলেন এটা আমাদের নয়, সরকারের প্রয়োজনেই হয়েছে। তবে তারা এক বাক্যে বলেন, সমঝোতা-টমঝোতা কিছু না। সবই বাজে কথা। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে চালু করা যুদ্ধাপরাধ মামলাগুলোতে হঠাৎ করেই যেন শ্লথগতি এসে গেল। আন্তর্জাতিক শক্তি বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়া এখনও সবাইকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে সোচ্চার। তারা কত দিন এভাবে বলবেন? এখানে তো ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থানগত কিছু স্বার্থ রয়েছে। সরকার পূর্বমুখী নীতি গ্রহণ করে পশ্চিমাদের বোঝাতে চাইছে তাদের না হলেও চলবে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে যখন বলা হয়- আমাদের জিএসপির দরকার নেই, তখন বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় সরকার কোনদিকে হাঁটছে। বা কি চাইছে। সরকারের হাতে অনেক কিছু দেয়ার আছে। বিরোধীরা এখন কি দেবে। ভবিষ্যতে এলে হয়তো পাওয়া যেতে পারে। এটা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। চীন কেন বিগড়ে গেল বিএনপি কি সেটা খতিয়ে দেখেছে। আমার ধারণা তা দেখেনি। চীনকে উপেক্ষা করে তাইওয়ানের ট্রেডমিশন চালু করার পেছনে কোন কূটনৈতিক স্বার্থ ছিল না। কতিপয় ব্যক্তির সুবিধাপ্রাপ্তি ছাড়া। বিগত আন্দোলনের সময় ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। এর মধ্যে কারা কতটুকু করেছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু বিএনপির তরফে এসব নিয়ে সোচ্চার কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। কেউ নিন্দাও জানাননি। বরং অনেক ক্ষেত্রে উৎসাহ যুগিয়েছেন। সরকার যে অনেক ক্ষেত্রে এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছে তা বিএনপি নেতাদের মুখ থেকে কিছু বক্তৃতায় শোনা গেছে। নীতিগত অবস্থান ছিল অনুপস্থিত। এখন আন্দোলনের কথা বলতে না বলতেই শাসক দলের নেতারা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন পুরনো ফাইল খুলে। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল অনেক। কবুল করুন আর না-ই করুন এটা স্বীকার করতে হবে ভুল ছিল আন্দোলনের নীতি-কৌশলে। নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেক কথা আছে দলটির ভেতরে। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলটি বলতে পারতো আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চাই। তখন আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সরকারের পক্ষে কিছু বলার থাকতো না। অতীত রাজনীতি কি বলে? সেনাশাসকদের অধীনেও শেখ হাসিনা বারবার নির্বাচনে গিয়েছেন। তিনি জানতেন ফলাফল কি হবে। ২১ বছর তাকে লড়াই করতে হয়েছে এভাবে। খালেদা নির্বাচনমুখী হলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হতো কিনা তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি রয়েছে। পর্দার আড়ালের খবরাখবর রাখেন এমন কিছু সূত্রের ইঙ্গিত ছিল অন্য কিছু হয়ে যাবে। এতে বেগম জিয়া লাভবান হবেন না। এ কারণে নাকি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল বিএনপি। জামায়াত এখানে অন্য কৌশল নিয়েছিল। বিএনপির মূল দুর্বলতা কি? সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল? নাকি অন্য কিছু। দলের ভেতরে বলাবলি আছে, ‘কাছের লোকেরা’ নাকি যতসব অনিষ্টের মূল। তারা মুহূর্তের মধ্যেই সব কিছু ফাঁস করে দেয়। কার্বনকপি পাঠিয়ে দেয় জায়গামতো। শীর্ষ নেতারা জেনেও না জানার ভান করেন। কারণ তারাই এখন শক্তিশালী। ‘আমলা নেটওয়ার্ক’ও নানামুখী তৎপরতার সঙ্গে লিপ্ত। তারা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে এমন কথা তো প্রায়ই শোনা যায়।