ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে বিশেষ করে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে বিএনপির করা অভিযোগের সমালোচনা করা হয়েছে গতকাল সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কেন এটা (তালপট্টি) মানচিত্রে আনল না। জিয়াউর রহমানের সময় কেন এটা মানচিত্রে ওঠানো হয়নি। সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদেরও সমালোচনা করা হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য জানায়। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণী সালিসি ট্রাইব্যুনালের রায় সম্পর্কে অবহিত করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম পাওয়ার পয়েন্টে বিষয়টি তুলে ধরেন। সভায় সমুদ্রের সম্পদ আহরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে তালপট্টির কথা বলছে, তা মানচিত্রে (ম্যাপে) ছিল না। জিয়াউর রহমানের সময়ও ছিল না। এইচ এম এরশাদের সময়ও এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ১৯৮৫ সালের পর তালপট্টি তলিয়ে যায়।
সভায় একজন প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাব করেন, সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যাঁরা এই কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাঁদের সম্মাননা বা স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সভার সিদ্ধান্ত জানান। তিনি জানান, সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন। তবে তা কবে ও কখন হবে তা জানানো হয়নি।
সভায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, গাজায় ইসরায়েলের যে হামলা চলছে, তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। রমজান মাসে এই হামলা আরও দুঃখজনক। মন্ত্রিসভা অবিলম্বে এই হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে এবং তা বন্ধের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদন জানাচ্ছে।
সভায় বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন আছে ও থাকবে।
সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ে বোর্ড (রহিতকরণ) আইন, ২০১৪-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। মোশাররাফ হোসাইন বলেন, এ আইন হলে রেলওয়ে বোর্ডের আইনি ভিত্তি শক্ত হবে।
এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেটি প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুমোদন দিলেও স্পিকারের অনুমোদন বাকি থাকায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য জানায়। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণী সালিসি ট্রাইব্যুনালের রায় সম্পর্কে অবহিত করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম পাওয়ার পয়েন্টে বিষয়টি তুলে ধরেন। সভায় সমুদ্রের সম্পদ আহরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে তালপট্টির কথা বলছে, তা মানচিত্রে (ম্যাপে) ছিল না। জিয়াউর রহমানের সময়ও ছিল না। এইচ এম এরশাদের সময়ও এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ১৯৮৫ সালের পর তালপট্টি তলিয়ে যায়।
সভায় একজন প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাব করেন, সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যাঁরা এই কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাঁদের সম্মাননা বা স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সভার সিদ্ধান্ত জানান। তিনি জানান, সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন। তবে তা কবে ও কখন হবে তা জানানো হয়নি।
সভায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, গাজায় ইসরায়েলের যে হামলা চলছে, তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। রমজান মাসে এই হামলা আরও দুঃখজনক। মন্ত্রিসভা অবিলম্বে এই হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে এবং তা বন্ধের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদন জানাচ্ছে।
সভায় বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন আছে ও থাকবে।
সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ে বোর্ড (রহিতকরণ) আইন, ২০১৪-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। মোশাররাফ হোসাইন বলেন, এ আইন হলে রেলওয়ে বোর্ডের আইনি ভিত্তি শক্ত হবে।
এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেটি প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুমোদন দিলেও স্পিকারের অনুমোদন বাকি থাকায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।