ঈদের পর সরকার পতনের যে আন্দোলন শুরু হবে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আর দমাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জে. (অব.) আসম হান্নান শাহ। বলেছেন, ঈদের পর আন্দোলনের ডাক দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাবো। জনগণ জানে সরকার পতন ঘটাতে কি করতে হয়। তারা যখন মাঠে নামবে তখন গুলি, আগুন আর নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে দমাতে পারবে না। এরশাদ পারেনি এই সরকারও পারবে না। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ডেমোক্রটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘নারায়ণগঞ্জ ও কালশীসহ বিভিন্ন হত্যাকা-ের ঘটনা ধামাচাপা ও নাগরিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, সরকার সবকিছুই ধামাচাপা দেয়। তারা মনে করে নতুন একটা ইস্যু আসবে আর জনগণ আগের ইস্যুর কথা ভুলে যাবে। তিনি বলেন, গান্ধী স্টাইলে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, আমি তাদের দলে নেই। কারণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, বৈধভাবে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না। হান্নান শাহ বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে। জনগণ যখন মাঠে নামবে তখন এসব গুলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ রাঙানি কাজে আসবে না। হান্নান শাহ বলেন, আন্দোলন করার মতো ইস্যু আছে, মাঠ পর্যায়ে নেতা-কর্মী আছে, কিন্তু নেতৃত্ব দেয়ার মতো নেতা নেই। আন্দোলনের জন্য ছেলেরা প্রস্তুত। নারায়রণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকা- ঘটছে। ডিফেন্স সার্ভিসের কর্মকর্তারা কিলিং মিশন নিয়ে র্যাব কাজ করছে। কিলিং মিশনে সেনাবাহিনীর ১৭ জন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। তারা নিজস্ব বাহিনীতে ফিরে গেলে তাদের অধস্তনদের মাঝে অনৈতিকতা ছড়িয়ে পড়বে। শতকরা ৯০ ভাগ পুলিশ চার ফিট দূরের টার্গেটেও গুলি করতে পারে না- মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিরপরাধ লোকদের ধরে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের কোন পোস্টমর্টেম করা হয়নি। হলে বোঝা যেত কারা এর সঙ্গে জড়িত। শামীম ওসমানকে উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার মন্তব্যের জন্য আপনি জাতি এবং সাংবাদিকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ন্যাপ সভাপতি এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।