এবারের বিশ্বকাপে চমকের দল কোস্টারিকা। ফুটবলের
মহাযজ্ঞে তারা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে প্রথমবার। তবে তাদের সাফল্য গাথায়
নতুন পালক সংযোজনের পথে আজ বড় বাধা নেদারল্যান্ডস। কোয়ার্টার ফাইনালে আজ
মোকাবিলায় নামছে তিনবারের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডস ও মধ্য আমেরিকার দল
কোস্টারিকা। সালভাদরে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ২টায়। নেদারল্যান্ডস-কোস্টারিকা
ফুটবল লড়াই এটাই প্রথম। এবারের ডেথ গ্রুপে তিন সাবেক চ্যাম্পিয়নের
উপস্থিতিতে কোস্টারিকাকে নিয়ে আশা দেখছিলেন না বোদ্ধারাও। তবে মাঠের খেলায়
অপরাজিত মর্যাদা নিয়েই গ্রুপের বাধা পার করে কোস্টারিকানরা। এতে তারা
যথাক্রমে ১-০ ও ৩-১ গোলে হারের স্বাদ দেয় দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও
উরুগুয়েকে। আর ১৯৬৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সঙ্গে করে গোলশূন্য ড্র।
তবে ফাইনালের আগে কোস্টারিকা কোচ হোর্গে লু্ইস পিন্টোর জন্য চিন্তার কারণ
সেরা ফর্মের গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের ইনজুরি। দ্বিতীয় রাউন্ডে গ্রিসের
বিপক্ষে ম্যাচে আঘাত পান কোস্টারিকা গোলরক্ষক। আগের ম্যাচে লালকার্ড দেখে
আজ নিষিদ্ধ থাকছে কোস্টারিকা ডিফেন্ডার অস্কার দুয়ার্তে। দ্বিতীয় রাউন্ডের
ম্যাচে গ্রিসের গোলপোস্টে একবারই শট নিতে দেখা যায় কোস্টারিকানদের। ওই এক
শটেই দলের গোল পান ব্রায়ান রুইস। আর ডাচ্দের মোকাবিলার আগে
আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই অধিনায়ক ব্রায়ান রুইসের। কোস্টারিকা অধিনায়ক বলেন,
শনিবারের ম্যাচটি আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। এখানেই থামতে চাই না আমরা।
নেদারল্যান্ডস আসরের অন্যতম সেরা দল। তবে আমাদের সুযোগটাও দেখি আমি স্পষ্ট।
জানি এ ম্যাচে জিততে হলে আমাদের নৈপুণ্য দেখাতে হবে নিখাদ। গতবারের
ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে শেষ ১১ ম্যাচের ১০টিতেই দেখেছে জয়।
বিশ্বকাপে উত্তর ও মধ্য আমেরিকার কোন দলের কাছে হারের স্মৃতি নেই ডাচ্দের।
আর ইউরোপের দলগুলোর বিপক্ষে হতাশার রেকর্ড কোস্টারিকার। বিশ্বকাপে
ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ৭ লড়াইয়ে একবারই জয় পেয়েছে
কোস্টারিকা। তবে তাদের এ স্মৃতি টাটকা। গ্রুপ পর্বে তারা হারায় চারবারের
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। ডাচ্ ফুটবল ভক্তদের জন্য উদ্বেগের পরিসংখ্যানও
আছে। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১১ নকআউট ম্যাচে গোল হজমের রেকর্ড
নেদারল্যান্ডসের। নকআউট পর্বে তারা সর্বশেষ নিজেদের গোলবার নিশ্ছিদ্র রাখতে
পেরেছিল ১৯৯৪’র বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। আর চলতি আসরে
নেদারল্যান্ডসকে আগে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়তে দেখা গেছে টানা চার ম্যাচে।