শনিবার, জুলাই ০৫, ২০১৪

আজ লড়াইয়ে নামছে মেসির আর্জেন্টিনা ও ডার্ক হর্স বেলজিয়াম

আসরে চার ম্যাচ শেষে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পরিসংখ্যান বেলজিয়াম ও আর্জেন্টিনা দলের। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে চার ম্যাচে বেলজিয়াম তারকারা প্রতিপক্ষ গোলপোস্টে শট নিয়েছেন আসরের সর্বাধিক ৮৩ বার। আর দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮০ শটের রেকর্ড আর্জেন্টিনার। আসরে চার ম্যাচে জয়ের কৃতিত্বও দল দু’টির। আজ কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নামছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও এবারের আসরের ডার্ক হর্স বেলজিয়াম। ব্রাসিলিয়ায় এ লড়াই শুরু হবে রাত ১০টায়। এ নিয়ে টানা চতুর্থ  কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে ১৯৭৮ ও ৮৬’র চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর বেলজিয়ামের এটি দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল। পরস্পর পরিসংখ্যানে এগিয়ে আর্জেন্টাইনরা । চার সাক্ষাতে তিনবার জয় দেখেছে আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপে দু’দলে হারজিৎ সমান। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বেলজিয়ামের একমাত্র জয়টি চমকের। স্পেনে ১৯৮২’র বিশ্বকাপে সূচনা ম্যাচে শিরোপাধারী আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিরে বেলজিয়াম দেয় অঘটনের জন্ম। তবে বিশ্ব্‌কাপে বেলজিকদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়টিও  তাৎপর্যের। ১৯৮৬’র সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারায় অধিনায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা । পরে জিতে নেয় তারা সেবারের বিশ্বকাপও। এবারের আসরে এ পর্যন্ত বেশিক্ষণ বল দখলে রাখতে দেখা গেছে আর্জেন্টিনা দলকে।  চার ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার বল পজেশন আসর সর্বোচ্চ ৬৪.৩%। তবে আর্জেন্টিনা দলের খেলা দেখে নাখোশ খোদ সাবেক কোচ দিয়েগো ম্যারাডোনা। দলের আক্রমণভাগের খেলা দেখে অসন্তুষ্ট এ আর্জেন্টাইন গ্রেট।  আর কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে প্রতিপক্ষ দলের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাইলেন বেলজিয়াম কোচ মার্ক উইলমটসও।  কোয়ার্টার ফাইনালের আগে উইলমটস বলেন, আর্জেন্টিনা দলে ভারসাম্য নেই। তাদের খেলা অগোছালো। দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় আজ আর্জেন্টিনা দলের বাইরে থাকছেন ডিফেন্স তারকা মার্কোস রোকো। তার বদলে আজ সুযোগ নিতে পারেন হোসে বাসান্তা। গতকাল দলের সঙ্গে হাল্কা অনুশীলনে দেখা গেছে স্ট্রাইকার সার্জিও অ্যাগুয়েরোকে। তবে কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা আজও তাকে দলের বাইরে রাখছেন নিশ্চিত। এক্ষেত্রে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই স্ট্রাইকার এজিকুয়েল লাভেজ্জি অথবা ম্যাক্সিমিলানো রদ্রিগেসকে দেখা যাবে আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশে। তবে বেলজিয়াম কোচ মার্ক উইলমটস দীর্ঘ বিরতি আজ দলে পাচ্ছেন ইনজুরি ফেরত তারকা থমাস ভারমলেনকে। তবে আক্রমণভাগে রমেলু লুকাকু ও দিভোক ওরিগির একজনই সুযোগ পাচ্ছেন বেলজিয়াম দলের শুরুর একাদশে। ১৯৯০’র বিশ্বকাপের পর এ নিয়ে চতুর্থবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে আর্জেন্টিনা। তবে আগের তিনবার আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভাঙে  কোয়ার্টার ফাইনালেই। ১৯৯৮-এ আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে হার মানে নেদারল্যান্ডসের কাছে। ২০০৬ ও ২০১০’এ আর্জেন্টাইনদের স্বপ্ন ভাঙে জার্মানদের কাছে। প্রথমবার টাইব্রেকারে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গত আসরে আর্জেন্টিনা হার মানে পরিষ্কার ৪-০ গোলে। তবে বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো শেষ ৭ ম্যাচের ছয়টিতে জয়ের রেকর্ড আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের সেরা সাফল্যটা ওই ১৯৮৬’র বিশ্বকাপে। দিয়েগো ম্যারাডোনার জোড়া গোলে এতে সেমিফাইনালে স্বপ্ন ভাঙে বেলজিকদের। একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার নিয়ে এবারের বেলজিয়াম দলকে ডাকা হচ্ছে ডার্ক হর্স। তবে সোনালী প্রজন্মের বেলজিয়াম দলকে আসরে স্বাচ্ছন্দ্য পেতে দেখা যায়নি একবারও। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের চার ম্যাচে এ পর্যন্ত পেয়েছে তারা ৬ গোল। আর এর প্রতিটি গোলই পেয়েছে তারার ম্যাচে ৭০ মিনিট খেলা পার করে। বেলজিকদের গোল নিয়ে এগিয়ে থাকার স্বস্তিটা ছিল চার ম্যাচে মোট ৫২ মিনিট।  আর বেলজিয়ামের ৬ গোলের চারটি পেয়েছেন বদলি খেলোয়াড়রা।