শুক্রবার, জুলাই ১৮, ২০১৪

বিস্মৃতির পর্দা ঠেলে ফিরে এলেন হ্যারি পটার!

আগের চেয়ে অনেক ধীর-স্থির তিনি। হাঁটা-চলা, হাব-ভাব, চুলের রুপালি ঝিলিকে প্রতি মুহূর্তে ফুটে উঠছে আসন্ন মাঝবয়সের হাতছানি। শুধু বদলে যায়নি অতি পরিচিত গোল ফ্রেমের চশমা। বিস্মৃতির পর্দা ঠেলে ফিরে এলেন হ্যারি পটার। ২০০৭ সালে প্রকাশিত পটার সিরিজের শেষ উপন্যাস 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ'-এর পর কিশোর জাদুকরকে কেন্দ্র করে আর কাহিনি লিখবেন না বলে ঘোষণা করেছিলেন স্রষ্টা জে কে রাউলিং। কিন্তু গত মঙ্গলবার নিজেই সেই শপথ ভাঙার ইঙ্গিত দিয়েছেন লেখিকা। 'পটারমোর' ওয়েবসাইটে তাঁর সাম্প্রতিক পোস্ট জানাচ্ছে, পরিণত বয়সে ফের গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ফিরে আসছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কিশোর জাদুকর। কী ইশারা মিলেছে রাউলিংয়ের এই পোস্টে? মাত্র এক হাজার ৫০০ শব্দের লেখা পড়ে জানা যায়, কিডিচ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা দেখতে সপরিবার ও সবান্ধব স্টেডিয়ামে এসেছেন হ্যারি পটার। তাঁর বয়স এখন ৩৪। চুলে পাক ধরেছে মধ্যবয়সের দিকে এগিয়ে যাওয়া জাদুকরের। গালের উপর রহস্যময় এক কাটা দাগ। মনে করা হচ্ছে, দুষ্টের দমন করতে গিয়ে কখনও জখম হয়েছিলেন 'অরার' হ্যারি। গোটা লেখাটাই আসলে এক রিপোর্ট। লেখিকা 'ডেইলি প্রফেট' সংবাদপত্রের সাংবাদিক রীতা স্কিটার, যাঁকে মাঝে-সাঝে হ্যারির গল্পে এর আগে দেখা গিয়েছে। পোস্টের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে এক হাত নিয়েছেন রাউলিং। ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দেওয়ার জন্য অতীতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষ ভোলার নয়। ওয়েবসাইটের পোস্টে হ্যারির বিবাহিত জীবন নিয়েও ঠারেঠোরে কিছু তথ্য পেশ করেছেন স্রষ্টা। সঙ্গে, হ্যারির প্রিয় বন্ধু রন উইজলির বর্ণনাও পাওয়া গিয়েছে। লাল চুলের জন্য বিখ্যাত হাসিখুশি রন না কি এখন প্রায় বিরলকেশ। তাঁর স্ত্রী তথা হ্যারির প্রিয় বান্ধবী হারমিওন বর্তমানে শীর্ষ আমলা। জাদু আইন কার্যকর বিভাগের উপপ্রধান পদে সে অধিষ্ঠিত। এরা ছাড়া নেভিল লংবটম ও লুনা লাভগুডের মতো চরিত্রদের বিবর্তন সম্পর্কেও আভাস দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। তা হলে কি 'জাদু জগতের বিস্ময়' হ্যারি পটারকে নিয়ে নতুন প্লট সাজাচ্ছেন রাউলিং? 'ডেথলি হ্যালোজ' প্রকাশিত হওয়ার সময় তাঁর মুখপাত্র মার্ক হাচিনসন জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে পটার নভেল প্রকাশ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ ব্যাপারে লেখিকা নিজে কোনো মন্তব্য করেননি। তবু রাউলিংয়ের পোস্ট ঘিরে আবার আশায় বুক বেঁধেছেন দুনিয়ার পটারপ্রেমীরা।