শনিবার, জুলাই ০৫, ২০১৪

সুস্থ থাকার জন্য

সুস্থ থাকার জন্য কত কিছুই না করছি আমরা। সুখী জীবনের প্রথম শর্ত হচ্ছে সুস্থ থাকা। শুধু একটু সচেতনতার অভাবে আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবনটাতে চলে আসে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা। তাই চলুন জেনে নেই কী করে থাকা যায় সুস্থ ও সুন্দর।

রাতের খাবার খান তাড়াতাড়ি

সুস্থ থাকার কত উপায়...বিশেষজ্ঞরা বলেন আপনি যদি খাদ্য গ্রহণের পরপরই ঘুমোতে যান তবে আপনার ওজন বেড়ে যাবে। খাবার খাওয়ার পর আপনার ক্যালরি খরচ করে তারপর ঘুমোতে যাওয়া উচিত। তা না হলে তা আপনার শরীরের জমা হবে। তাই রাতের খাবার খান ঘুমোতে যাওয়ার কমপক্ষে চার ঘন্টা আগে। শুধু তাই নয় আপনার সারাদিনের খাবারের একটি সুন্দর তালিকা করে নিন। তা মেনে চলুন আর সুস্থ থাকুন।

প্রতিদিন ওজন মাপুন

আপনার সুস্থতার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে আপনার উচ্চতা অনুসারে আপনার ওজন। আর ওজন ঠিক রাখতে প্রতিদিনই আপনার ওজন মাপুন। কেননা ওজন বেশি কমে যাওয়া এবং বেশি বেড়ে যাওয়া দুটোই ক্ষতিকর। তাই নিয়ম করে প্রতিদিনই ওজন মাপুন।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হচ্ছে কঠিন একটি খাদ্য তালিকা মেনে চলা। যাকে আমরা বলছি ডায়েট শিট। সেই ডায়েট শিটে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদানগুলো যেন সঠিক পরিমাণে থাকে। তবে শুধু তালিকা করেই নয় বরং সেই তালিকার বিষয়গুলোও অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তা হবে প্রতিদিনই।

নিজেই নিজেকে বাহবা দিন

যখন নিজের জন্য একটি সুন্দর রুটিন তৈরি করে নিয়েছেন এবং তা পালন করতেও শুরু করেছেন তখন নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। ভাবতে থাকুন অন্যের তুলনায় আপনি অনেক ভালো আছেন। এই রুটিনের জন্য আপনি সারা জীবন সুস্থ ও সুন্দর থাকার ইনস্যুরেন্স করে নিচ্ছেন। আর এর জন্য আপনি নিজেকে অবশ্যই সাধুবাদ দিতে পারেন।

সুষম খাবার ও ব্যায়াম


সুষম খাবার ও ব্যায়ামসুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই সুষম খাবার এবং ব্যায়াম সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। তাই এ সম্পর্কে ভালো তথ্য জেনে নিন এবং তা মেনে চলার চেষ্ঠা করুন।

সকালের খাবার খান

সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত হচ্ছে সকালের খাবার সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে গ্রহণ। তাই অবহেলা না করে প্রতিদিনই সকালের খাবার খান।

কাজের ফাঁকে অবসর

ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ না করে একটু ব্রেক নিন। ১০–১৫ মিনিটের অবসরে হালকা কোন খাবার খান। এতে করে কাজেও বিরক্তি আসবে না। আবার আপনার শরীর ও মনও পাবে প্রশান্তি।

প্রচুর পানি পান করুন

মানুষের দেহের ৬০ শতাংশই পানি। যা শরীরের পরিপাক ক্রিয়াসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। একজন সুস্থ মানুষের জন্য যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন সেই পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করা উচিত। তাই এ বিষয়টির দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।

৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম


একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতি রাতে ৬ থেকে ৮ ঘন্টার ঘুম প্রয়োজন। ভালো ঘুম সুস্থ থাকার অন্যতম উপায়। তাই প্রতিরাতে নিয়ম করে ঘুমান। এই ঘুম আপনার পরবর্তী সারা দিনের কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

ভালো থাকার অন্যতম উপায় হচ্ছে আনন্দে থাকা। এর জন্য সব ধরণের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্ঠা করুন। কাজের ক্ষেত্রে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা যে ধরণের চাপগুলোর মুখোমুখি হয়ে থাকি তা সঠিক ভাবে মোকাবেলা করতে পারলে আপনার জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। তাই ভেঙে না পড়ে মোকাবেলা করতে শিখুন। প্রশান্তিন জন্য ইয়োগা করুন অথবা কোন হালকা কোর ব্যায়াম করে নিন। হাটুন আর লম্বা করে নিশ্বাস নিন। উদ্বেগটাকে যথা সম্ভব মন থেকে সরিয়ে রাখুন।

লিফ্‌ট নয় ব্যবহার করুন সিঁড়িলিফ্‌ট নয় ব্যবহার করুন সিঁড়ি


ব্যায়াম করার জন্য আপনি হয়ত টাকা খরচ করে অনেক দামি যন্ত্র কিনছেন। তবে এতো কিছু না করে সহজেই আপনি নিজের ওজন ঠিক রাখতে পারেন। আর এর জন্য লিফ্‌ট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করুন। যতটুকু উচ্চতায় আপনার পক্ষে সিড়িতে উঠা সম্ভব সেখানে লিফ্‌ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। পায়ে হাটার পথে অযথা যানবাহনে চড়বেন না। এ বিষয়টি মেনে চললে আপনার ওজন নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিবেলা খাওয়ার পর একটু সময় হেটে নেওয়া।

হাসতে শিখুন বাঁচতে শিখুনহাসতে শিখুন বাঁচতে শিখুন


জীবনে সুখী থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হচ্ছে নিজেকে সুখী ভাবা। তাই নিজেকে সুখী ভাবুন, আনন্দে থাকুন, হাসতে শিখুন প্রাণ ভরে। জোকস বলুন, নিজে হাসুন এবং অন্যকেউ হাসতে সাহায্য করুন। জীবনে সুখ ও প্রশান্তি আপনারই জন্য।


জোশি