শনিবার, জুলাই ০৫, ২০১৪

মাঠের বাইরে মেসি-রোনালদোরা

মাঠের খেলায় ফুটবলাররা মন জিতে নেন লাখো-কোটি ভক্ত-সমর্থকের। মাঠের বাইরে মেসি-রোনালদোরা নিজেরাই ব্যস্ত যাঁদের মন জিতে নিতে, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন রাজীব হাসান


ইরিনা ও রোনালদো. আকর্ষণীয় জুটিই বটেরোনালদো ও ইরিনা
শুধু চৌকো ফুটবল মাঠে নয়, পান পাতার আকৃতির হৃদয়ের ময়দানেও কিন্তু পাকা খেলোয়াড় তিনি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রেমিকার তালিকা তাই দেড় বিঘত লম্বা। অনেকের জীবনেই রোনালদো এসেছিলেন ‘হে ক্ষণিকের অতিথি’ হয়ে। এর মধ্যে কেবল দুজনের সঙ্গেই ‘সিরিয়াস’ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডে খেলার সময়। দুই ব্রিটিশ মডেল অ্যালিস গুডউইন ও জেমা অ্যাটকিনসন।
২০১০ সালের শুরুতে নতুন বছর রোনালদোর প্রেমের দিগন্তে নতুন সূর্যোদয় নিয়ে আসে। রুশ মডেল ইরিনা শায়াক। ইরিনা প্রেম সম্পর্কে রোনালদোর দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দেন। প্রেম আর রোনালদোর কাছে স্রেফ ৯০ মিনিটের একটা ম্যাচ নয়, দীর্ঘদিন একই ক্লাবের হয়ে খেলার আনুগত্য। নিন্দুকদের মুখে চুনকালি এঁকে চার বছর পেরিয়ে গেছে দুজনের সুখের সংসার। এরই মধ্যে রোনালদো অবশ্য বাবা হয়েছেন, ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের মায়ের পরিচয় নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। কিন্তু সেই সন্তানকেও আপন করে নিয়েছেন ইরিনা। একই ছাদের নিচে দুজনের বসবাস কবে ছাঁদনাতলা পর্যন্ত যাবে, সেই খবর অবশ্য এখনো অজানা।
নেইমার ও গ্যাব্রিয়েলা: দুজন যখন দুজনারনেইমার ও গ্যাব্রিয়েলা

মেসি তাঁর ‘আদর্শ’, এ কথা সুযোগ পেলেই বলেন। তবে প্রশ্নটা যখন হৃদয়ের ময়দানে ড্রিবলিং করার, নেইমারের আদর্শ যেন রোনালদোই। নিজেই এখনো এত্তটুকুন। মুখ থেকে কৈশোরের গন্ধ মুছে যায়নি। সেই নেইমার তিন বছর আগেই বাবা হয়ে বসে আছেন। অবশ্য তাঁর ছেলে দাভিদের মা ক্যারোলিনা দান্তাসের সঙ্গে সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে সেই কবে। নেইমার এরপর বেশ কিছুদিন প্রেম করেছেন ব্রুনা মারকুইজিন নামের ব্রাজিলীয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। কিন্তু এ বছর ভালোবাসা দিবসের ঠিক তিন দিন আগে দুজনের বিচ্ছেদ।


নেইমারও ব্রাজিলের পাট চুকিয়ে নাম লিখেছেন স্পেনে ক্লাব ফুটবলে।
তাঁর বর্তমান প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েলা লেনজি। ২০ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েলাও ব্রাজিলিয়ান মডেল। দুজনের সম্পর্কের ব্যাপারে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে গত মাসে গ্যাব্রিয়েলা নেইমারের সঙ্গে তোলা সেলফি ইনস্ট্যাগ্রামে প্রকাশ করলে। যদিও দ্রুতই সেই ছবি সরিয়ে ফেলেন। ধারণা করা হয়, নেইমার নিজে এই সম্পর্কটি এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে চান না।

রোকুজ্জো ও মেসি, হাতে হাত রেখে বহুদূরমেসি ও রোকুজ্জো

ফুটবলীয় দ্বৈরথ (কিংবা ত্রিরথে) লিওনেল মেসি সমানে সমান টক্কর দেবেন রোনালদো-নেইমারদের সঙ্গে। তবে প্রেমের ব্যাপারে তিনি যেন মফস্বলের সেই মধ্যবিত্ত তরুণটির মতো। শৈশবের প্রেমিকাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা আর বিশ্বস্ততার কাছে বারবার হার মেনেছে শোবিজ জগতের আগুন-জ্বলা রূপসীরা। তবে মেসির প্রেমিকা আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোও কিন্তু রূপে-গুণে কম যান না। এর আগে রোজারিওতে মেসির বাড়ির পাশের তরুণী মাকারেনা লেমোস আর আর্জেন্টাইন মডেল লুসিয়ানাকে জড়িয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তবে ২০০৯ সালে মেসি সব গুঞ্জনের ডালপালা ছেঁটে জানিয়ে দেন, তাঁর হৃদয়েও আছে এক ঘুমন্ত রাজকন্যা। পরে মেসি-রোকুজ্জোকে একটি কাতালান উৎসবে একসঙ্গে চোখে চোখ আর হাতে হাত রেখে হংসমিথুন অবস্থায় দেখা যায়।
২০১২ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো বাবা হন মেসি। ছেলের নাম রাখেন থিয়াগো। দুজনের বিয়ে হয়েছে, এমন একটা গুঞ্জন গত বছর ছড়িয়েছিল। তবে বিয়ে করেছেন কি না এ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।
পিকে ও শাকিরা, প্রেম মানে না বয়সপিকে ও শাকিরা


শাকিরা-পিকের প্রেমকাহিনি যেন রোমান্টিক এক ছবির গল্প। গত বিশ্বকাপের পর পরই গুঞ্জন শুরু হয়, পপতারকা শাকিরা প্রেম করছেন বয়সে তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট পিকের সঙ্গে। প্রথমে অস্বীকার করলেও দুজনই বুঝতে পারেন, প্রেমের চাঁদ আকাশে উঠলে তা লুকিয়ে রাখার উপায় নেই। ধারণা করা হয়, ২০১০ বিশ্বকাপের গান ‘ওয়াকা ওয়াকা’র মিউজিক ভিডিওর শুটিং চলার সময়ই দুজনের হৃদয়ের আর্দ্র ভূমিতে রোপিত হয় নতুন প্রেমের বীজ।
সেই ভালোবাসার সম্পর্কের স্বর্গীয় প্রমাণ হিসেবে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে জন্ম নেয় মিলান। সংস্কৃত শব্দ থেকে ধার করা যে নামের অর্থ আসলে ‘মিলন’।
কারবোনেরো ও ক্যাসিয়াস, মাঠের দুর্দিন কি পরিবারের সান্ত্বনায় ঘুচবে?ক্যাসিয়াস ও কারবোনেরো


২০১০ সালে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ক্যাসিয়াস গোল খাওয়ার পর শোরগোল উঠেছিল—গোলপোস্টের পাশে প্রেমিকা দাঁড়িয়ে থাকলে মনোযোগ থাকবে কী করে!
আসলে রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেন অধিনায়ক ক্যাসিয়াস প্রেম করেন টিভি সাংবাদিক সারা কারবোনেরোর সঙ্গে। যে প্রেমের শুরু গত বিশ্বকাপের আগের বছর। এ বছর জানুয়ারিতে দুজনে প্রথম সন্তানের মুখ দেখেছেন। ছেলের নাম মার্টিন কারবোনেরো ক্যাসিয়াস।