ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর পরও অনেককে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে দেখা যায়। কারণ, প্রায় প্রত্যেকের মনে থাকে একই প্রশ্ন, যার সাথে সম্পর্কে জড়ানো হলো তিনি কি আদৌ সঠিক মানুষ? এই সঠিক বেঠিকের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত থাকার দরুন সম্পর্কে আসে টানাপোড়ন। অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কিছু না বোঝা চেষ্টা করেই।
পরবর্তীতে ভুল ভাঙলেও কিছু করার থাকে না। কারণ সময় তো ফিরে আসে না। তাই না বুঝেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ নয়। ছেলেদের মনে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব অনেক বেশিই দেখা যায়। আর তাই তাদেরকে একটু বেশি সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। ছেলেরা ১৫ টি লক্ষণে বুঝে নিতে পারেন আপনার প্রেমিকা কতোটা সঠিক আপনার জন্য। চলুন তবে আজকের ফিচারে দেখে নেয়া যাক লক্ষণগুলো।
আপনাদের পছন্দের অনেক মিল রয়েছে
বিপরীত জিনিসের প্রতি আকর্ষণ সকলেরই রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটু উল্টোটাই দেখা ভালো। আপনার প্রেমিকার সাথে আপনার পছন্দের মিল থাকলে সে আপনার জন্য সঠিক মানুষ। তবে ১০০% মিল খুজলে চলবে না। আপনাদের পছন্দের মধ্যে ৭০-৮০% মিল থাকলেই হলো।
তিনি আপনার কাজে হস্তক্ষেপ করেন না
একজন অপরজনের কাজে হস্তক্ষেপ করলে প্রকৃতপক্ষে কোনো লাভই হয় না। তিনি যদি আপনাকে আপনার কাজে হস্তক্ষেপ না করে উৎসাহ দেন তবেই তিনি একজন সঠিক প্রেমিকা।
তিনি যদি নিজের মনের কথা বলে দেন
অনেকে মেয়েই চান যে তার প্রেমিক তার মুখ ও কথা বলার ধরণ দেখে তার মনের খবর জেনে নিক যা একেবারেই উচিৎ নয়। যে প্রেমিকা নিজে থেকেই তার মন খারাপ, ভালোলাগা সব বলে দেবেন, আপনার ওপর এই অযথা অত্যাচার করবেন না তাকে কখনোই হারাতে দেবেন না।
আপনার প্রেমিকা যদি আপনি কি ধরণের মানুষ তা দেখে আপনাকে পছন্দ করেন
আপনার প্রেমিকা যদি আপনার ভেতরের মানুষটা এবং আপনি কোন ধরনের মানুষ তা দেখে আপনার সাথে সম্পর্কে জরায় তবেই তিনি পারফেক্ট। আপনি কি করেন এবং আপনি কে তা তার কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। এটিই সত্যিকারের ভালোবাসা।
যে আপনাকে পরিবর্তনের চেষ্টা করেন না
আপনার প্রেমিকা যদি আপনাকে পরিবর্তনের চেষ্টা করেন তবে সে সম্পর্কে এগোনো উচিৎ নয়। কারণ তিনি যদি আপনাকে পরিবর্তনই করতে চান তবে তিনি আপনার কি দেখে পছন্দ করেছিলেন। আপনার পেমিকা যদি আপনাকে পরিবর্তন করতে না চান তবে বুঝে নেবেন তিনি পারফেক্ট একজন মানুষ, কারণ তিনি আপনাকে পারফেক্ট ভাবেন।
তিনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট
অনেক প্রেমিকাই আছেন যারা নিজেকে নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন। সব সময়েই তারা নিজের মুটিয়ে যাওয়া কিংবা ত্বকের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। এই ধরণের প্রেমিকা মোটেও উপযোগী নন। যিনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট এবং নিজেকে পারফেক্ট ভাবেন তিনিই একজন পারফেক্ট প্রেমিকা।
সব সময় আপনার সাথে আঠার মতো লেগে থাকেন না
প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনেরই নিজস্ব একটি জগত রয়েছে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব রয়েছে। তাই প্রত্যেকরই নিজস্ব সময়ের প্রয়োজন। এই ব্যাপারটি বুঝে যিনি আপনার সাথে সব সময় আঠার মতো লেগে থাকবেন না তিনিই একজন সত্যিকারের প্রেমিকা।
মানসিকতার মিল
পছন্দ অপছন্দের মিল অনেকের সাথেই থাকতে পারে। এর পাশাপাশি আরও যে জিনিসটির মিল থাকা প্রয়োজন তা হলো মানসিকতার মিল। মানুষের সাথে কিভাবে কথা বলা উচিৎ, সততার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি নৈতিক দিক থেকে মিল থাকাও একজন পারফেক্ট প্রেমিকার লক্ষন।
তিনি আপনার সাথে সব কিছু নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন
নিজের সকল ধরণের সমস্যা, ছোট বড় দোষগুণ সব কিছু নিয়ে যদি আপনাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয় যেমনটা হয় খুব ভালো বন্ধুত্ব থাকলে তবে তিনি আপনার জন্য খুব ভালো একজন প্রেমিকা।
তিনি একজন ভালো শ্রোতা
মেয়েরা কথা শোনার থেকে বলতেই বেশি পছন্দ করেন। আপনার প্রেমিকা যদি আপনাকে নিজের সব কিছু বলার পাশাপাশি আপনার সব কিছু ভালো করে শোনেন এবং শুনতে উৎসাহী হন তবে তিনিই পারফেক্ট প্রেমিকা।
আপনার তার সাথে সময় কাটাতে অনেক ভাললাগে
যতোটা সময় আপনারা একেঅপরের সাথে কাটান প্রতিটি মুহূর্তই আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগার মুহূর্ত হয়। ছোটোখাটো সকল বিষয়েই মজা করা, অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু কাজ একসাথে করে ফেলা এবং ছেলেমানুষি করতে পারা শুধুমাত্র একজন পারফেক্ট প্রেমিকার সাথেই সম্ভব।
তিনি আপনার পরিবার ও বন্ধু বান্ধবের সাথে ভালো ভাবে মিশতে পারেন
নিজের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর যখন দেখবেন আপনার প্রেমিকা তাদের সাথে অতি আপনজন এবং অনেক আগের বন্ধুদের মতো মিশে যেতে পারছেন তবেই বুঝবেন তিনি আপনার জন্য সঠিক মানুষ।
তিনি ন্যাকামি একবারেই করেন না
অনেক মেয়েই আছেন যারা নিজের প্রেমিককে ‘কি রঙে আমাকে মানায়, কি পোশাক পরবো, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে, আমি কি মোটা হয়ে গিয়েছি’এই ধরনের ন্যাকামি প্রশ্নে জর্জরিত করেন। এই ধরণের স্বভাব যদি আপনার প্রেমিকার মধ্যে না থাকে তবে তিনি পারফেক্ট।
তিনি জানেন কিভাবে আপনাকে সারপ্রাইজ দেয়া যায়
তিনি আপনার সম্পর্কে সব কিছুই জানেন। এবং কিভাবে আপনাকে চমকে দেয়া যায়, সারপ্রাইজ করা যায় সবই তার জানা। তিনি আপনার বোরিং সময়গুলো মুহূর্তের মধ্যে আনন্দদায়ক করে ফেলতে পারেন তবে তিনিই আপনার জন্য সঠিক প্রেমিকা।
তিনি আপনাকে কখনোই বিরক্ত করেন না
‘তুমি ওখানে যাবে না, ওর সাথে কথা বলবে না, তোমার ওই বন্ধুতা ভালো না, অদের সাথে মিশবে না, আমার সাথে এখনই কথা বলো, তুমি এখন এটা করবে না’এই ধরণের বিরক্তিকর কথাগুলো অনেক প্রেমিকাই নিজের প্রেমিককে বলে থাকেন। এই স্বভাব যদি আপনার প্রেমিকার মধ্যে না থাকে তবে আপনি অনেক ভাগ্যবান। তাকে কখনোই ছাড়তে যাবেন না।