মঙ্গলবার, জুলাই ০১, ২০১৪

বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত?

বিষণ্ণতা একটি মানসিক রোগ। বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা থেকেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ মানুষই বুঝতে পারে না যে তারা বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত। ৫ টি লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারেন আপনি বা আপনার পাশের প্রিয়জন বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত কিনা।
১। মন খারাপ করে থাকা:
বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সব সময় মন খারাপ করে থাকে। যেন পৃথিবীতে মন ভালো করার মতো কোন কিছুই নেই। তাকে দেখলেই মনে হবে কোন কারণে তার প্রচণ্ড মনখারাপ। কোন খুশির সংবাদেও তাকে খুব একটা সুখি হতে দেখা যায় না।
২। অনাগ্রহ:
সবকিছুতেই অনাগ্রহ বিষণ্ণতা রোগের আর একটি বৈশিষ্ট্য। রোগী চমৎকার সব আগ্রহের জিনিসের প্রতিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। চমৎকার উপন্যাস, ভালো সিনেমা এমন কি কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্রতিও তার কোন আগ্রহ থাকে না।
৩। নিজেকে অকর্মণ্য ভাবা:
বিষণ্ণতাক্রান্ত ব্যক্তি সবসময় নিজেকে ব্যর্থ মানুষ হিসেবে মনে করে। চারপাশের মানুষগুলোকে সফল এবং কর্মট কিন্তু নিজেকে মনে করে কোন কাজের জন্যই সে পারফেক্ট না। ভোগে হতাশায়।
৪। অমনোযোগী হয়ে ওঠা:
পৃথিবীর কোন কিছুতেই সুষ্ঠু মনযোগ দিতে পারে না বিষণ্ণতাক্রান্ত ব্যক্তি। তার অমনোযোগিতার কারণে নানা রকম সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে তবু তার টনক নড়ে না। সে নিজেও জানে না তার মন কোন দিকে নিবিষ্ট।
৫। সবসময় মৃত্যুর কথা চিন্তা করা:
না, বিষণ্ণতাক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুকে ভয় পায় না। সে সবসময় ভাবে কখন তার মৃত্যু হবে, যেন মৃত্যু হলেই সে তার জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তিলাভ করবে। কথায় কথায় সে মৃত্যুর কথা বলবে আর পথ খুঁজবে সহজেই কী ভাবে মরে যাওয়া যায়।
আপনার নিজের কিংবা পরিচিত কারো মাঝে যদি এই সব লক্ষণ দেখা যায়, তবে অবশ্যই মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসায় এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেখবেন আপনার পৃথিবী আবার সুন্দর হয়ে উঠবে, বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করবে ভীষণ।