ব্রাজিলের বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সঙ্গেও। তবে নিজের রাজনৈতিক দর্শন, সিবিএফের সঙ্গে মতানৈক্য দূরে সরিয়ে রেখেই বিশ্বকাপের সময়ে সেলেসাওদের পাশে ছিলেন রোমারিও। অন্যদের মতো ১৯৯৪ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতা এই স্ট্রাইকারও চেয়েছিলেন চূড়ান্ত সাফল্য—ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা।
সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। ২০ কোটি ব্রাজিলিয়ানের স্বপ্ন ভেঙে লুইস ফেলিপে স্কলারির দল বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে। শেষ চারে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের হার এখন ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লজ্জা। তারপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও হল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলের হার। ব্যর্থতার দায় নিয়ে এরই মধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন কোচ স্কলারি, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় বলে দিয়েছেন স্ট্রাইকার ফ্রেড।
তবে সবার আগে সিবিএফের কর্তাব্যক্তিদের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন রোমারিও। নিদারুণ এই ব্যর্থতার দায় তিনি দিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল প্রশাসকদের। জার্মানির বিপক্ষে হারের পরই বলে দিয়েছিলেন, সিবিএফের কর্তাব্যক্তিদের জেলে পাঠানো উচিত। পরশু ব্রাজিলিয়ান একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আবারও ধুয়ে দিয়েছেন কনফেডারেশনের কর্মকর্তাদের। বলেছেন, ‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবল এক দঙ্গল অকর্মণ্যের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। এরা এরই মধ্যে নিজেদের অযোগ্য বলে প্রমাণ করেছে। ওরা শুধু স্টেডিয়ামের সেরা জায়গায় বসে খেলা দেখবে আর টাকা কামাবে৷ দেশের ফুটবলের ভালোটা ভাবার সময় নেই ওদের।’
কিছু পরিবর্তন অবশ্য নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হবে সিবিএফে। বর্তমান সভাপতি হোসে মারিয়া ম্যারিনের জায়গায় সামনের বছর দায়িত্ব নেবেন মার্কো পোলো দেল নেরো। তবে ম্যারিনের মতো নেরোকেও অযোগ্য বলেই মনে করেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার, ‘পরের চার বছর নাকি মার্কো পোলো দেল নেরো সিবিএফ চালাবে। আপনারা কি মনে করেন সে কিছু বদলাতে পারবে? আমি মনে করি না।’ খুব শিগগির সিবিএফ ঢেলে সাজানো না হলে ভবিষ্যতে ব্রাজিলকে মিনেইরাওজোর চেয়েও বড় লজ্জা পেতে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
বিশ্বকাপে এমন ব্যর্থতার জন্য সিবিএফের কিছুটা দায় আছে বলে মনে করেন আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকোও। তবে এই ব্যর্থতা থেকেই ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নিতে চান তিনি, ‘অনেকেই বলছেন, হার তো হারই, সেটা এক গোলের হোক আর সাত গোলের। এমন অজুহাত কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ব্যর্থতা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই। এই ক্ষত থেকেই আমাদের আবার শুরু করতে হবে। অনেক কিছু বদলাতে হবে আমাদের।’
সেই বদলটা কীভাবে হতে পারে তারও একটা রূপরেখা দিয়েছেন জিকো, ‘খেলোয়াড়দের অনুশীলন-কাঠামো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আমাদের উচিত তরুণ প্রতিভাদের দিকে বেশি নজর দেওয়া।’ এএফপি, গোলডটকম।
সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। ২০ কোটি ব্রাজিলিয়ানের স্বপ্ন ভেঙে লুইস ফেলিপে স্কলারির দল বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে। শেষ চারে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের হার এখন ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লজ্জা। তারপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও হল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলের হার। ব্যর্থতার দায় নিয়ে এরই মধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন কোচ স্কলারি, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় বলে দিয়েছেন স্ট্রাইকার ফ্রেড।
তবে সবার আগে সিবিএফের কর্তাব্যক্তিদের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন রোমারিও। নিদারুণ এই ব্যর্থতার দায় তিনি দিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল প্রশাসকদের। জার্মানির বিপক্ষে হারের পরই বলে দিয়েছিলেন, সিবিএফের কর্তাব্যক্তিদের জেলে পাঠানো উচিত। পরশু ব্রাজিলিয়ান একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আবারও ধুয়ে দিয়েছেন কনফেডারেশনের কর্মকর্তাদের। বলেছেন, ‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবল এক দঙ্গল অকর্মণ্যের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। এরা এরই মধ্যে নিজেদের অযোগ্য বলে প্রমাণ করেছে। ওরা শুধু স্টেডিয়ামের সেরা জায়গায় বসে খেলা দেখবে আর টাকা কামাবে৷ দেশের ফুটবলের ভালোটা ভাবার সময় নেই ওদের।’
কিছু পরিবর্তন অবশ্য নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হবে সিবিএফে। বর্তমান সভাপতি হোসে মারিয়া ম্যারিনের জায়গায় সামনের বছর দায়িত্ব নেবেন মার্কো পোলো দেল নেরো। তবে ম্যারিনের মতো নেরোকেও অযোগ্য বলেই মনে করেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার, ‘পরের চার বছর নাকি মার্কো পোলো দেল নেরো সিবিএফ চালাবে। আপনারা কি মনে করেন সে কিছু বদলাতে পারবে? আমি মনে করি না।’ খুব শিগগির সিবিএফ ঢেলে সাজানো না হলে ভবিষ্যতে ব্রাজিলকে মিনেইরাওজোর চেয়েও বড় লজ্জা পেতে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
বিশ্বকাপে এমন ব্যর্থতার জন্য সিবিএফের কিছুটা দায় আছে বলে মনে করেন আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকোও। তবে এই ব্যর্থতা থেকেই ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নিতে চান তিনি, ‘অনেকেই বলছেন, হার তো হারই, সেটা এক গোলের হোক আর সাত গোলের। এমন অজুহাত কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ব্যর্থতা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই। এই ক্ষত থেকেই আমাদের আবার শুরু করতে হবে। অনেক কিছু বদলাতে হবে আমাদের।’
সেই বদলটা কীভাবে হতে পারে তারও একটা রূপরেখা দিয়েছেন জিকো, ‘খেলোয়াড়দের অনুশীলন-কাঠামো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আমাদের উচিত তরুণ প্রতিভাদের দিকে বেশি নজর দেওয়া।’ এএফপি, গোলডটকম।