শুক্রবার, জুলাই ০৪, ২০১৪

সঠিকভাবে রিলাক্স করার পেছনে তিনটি বিষয়



সব কাজ থেকে ছুটি নিয়ে দূরে কোথায় ঘুরে আসার চেয়ে রোমাঞ্চকর আর কী হতে পারে। তাই এমন সুযোগ থাকলেই লুফে নিন। তবে সমস্যাটা হলো, দেহ-মনের যাবতীয় চাপ দূর করতে গিয়ে ছুটি কাটানোটাই চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মনের মতো সব পরিকল্পনা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আরো নানা ঝামেলা এসে ভর করে।
আসলে সমস্যা সম্ভবত অন্য জায়গায়। আরাম-আয়েশ করার মৌলিক ধারণা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জ্ঞান নেই। ছুটি কাটানোর আগে থেকেই আমাদের দেহ-মনকে সুস্থির করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। নয়তো, ছুটির দারুণ সময়ও ভেস্তে যাবে।
গতানুগতিকভাবে অবসর বিনোদন বা ছুটি কাটানো বলতে প্রতিদিনের কাজের বিপরীত কিছু করাকেই বুঝি। আসলে দুটো জিনিসই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত এবং তারাও আপনার কাছে থেকে সুখী চিন্তা ও যত্নশীল মনোযোগ আশা করে। নয়তো এখানেও মানসিক চাপের সম্ভাবনা আছে। এখানে সঠিকভাবে রিলাক্স করার পেছনে তিনটি বিষয়ের জানান দেওয়া হলো।
১. উত্তেজনাহীন দেহ : কাজ ও মানসিক চাপের ঝড় বয়ে যাওয়ার পরও আমাদের দেহ বহু সময় ধরে তার ধকল সহ্য করতে থাকে। কারণ মন থেকে দুশ্চিন্তা চলে গেলেও তার চাপ ছড়িয়ে থাকে পেশির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তাই সঠিক বিশ্রামের জন্য দেহকে ধীরস্থির করতে হবে। ঘাম ঝরানোর কিছু কাজ ও ইয়োগার মতো ব্যায়াম দেহকে শান্তি দিতে পারে। একমাত্র সুস্থির দেহ নিয়েই আপনি খুব ভালো বোধ করতে পারেন। ঝরঝরে লাগে সবকিছু।
২. কাজ ছাড়া সময় কাটানো : ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার আগে কাজের ঝামেলা কমবে না। তাই দিনের একটি সময়ে এসব কাজে ভাটা ফেলতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে, অসাধারণ কিছু খুঁজে বের করতে হবে। আসলে দুই-তিন দিন পরপর আধা ঘণ্টার জন্য রাতে হেঁটে আসা বা মোবাইল ফেলে রেখে পরিবারের সময় রাতের খাবার খাওয়ার মধ্যেই যথেষ্ট বিনোদনের উপাদান লুকিয়ে আছে।  
৩. নিজেকে চমকপ্রদ কিছু উপহার দিন : এ ধরনের ছুটি কাটানোর সময় সবচেয়ে দারুণ একটি বিষয় এমন কিছু করা যা সাধারণত করা হয় না। যখনই সময় পাবেন তখনই স্রেফ কর্মহীন হয়ে পড়ে থাকুন। ছুটি কাটানোর সময়টিতেও এই পদ্ধতি কাজের। সবাই যা করছে তাই যে করতে হবে তা কিন্তু নয়। সবাই যখন সৈকতে ছুটোছুটি করছে, তখন আপনি একটি আরাম কেদারায় গা এলিয়ে শুয়ে থাকুন। মোটকথা লম্বা কাজহীন দিনের দারুণ আবহাওয়া আর মজা যা আছে তার সুবিধা নিন। আবার হঠাৎ করেই পাহাড়ের দিকে হাঁটা শুরু করতে পারেন। সারা দিন ধরে যদি ব্যাপক হৈ হুল্লোড় করেন, তবে সন্ধ্যা হতেই ঘুমিয়ে পড়ুন। এভাবে প্রতিদিন এবং ছুটির দিনে ঘুরে-বেড়ানোকে আরো আনন্দময় করে তুলুন।
সূত্র : হাফিংটন পোস্