প্রায় প্রতিটি দেশেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নারী বা পুরুষ। গোটা বিশ্বে দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে এর সংখ্যা। তবে পরকীয়া বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে অনলাইন সাইটগুলোকে। বা বলা ভালো ডেটিং সাইটগুলোকে! অবশ্য এসব সাইটগুলো বেশ ঘটা করেই নিজেদেরকে 'চিটিং' সাইট বলে থাকে। যেমন অ্যাশলে ম্যাডিসন ডটকমের কথাই ধরা যাক। ২০০২ সালে কানাডাভিত্তিক ওয়েবসাইট অ্যাশলে ম্যাডিসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই সাইটের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষকে পরকীয়া করার সঙ্গী খুঁজে দেয়া। একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকার বিনিময়ে আপনি তাদের সদস্য হতে পারবেন আর তারপর এই ডেটিং সাইট থেকে খুঁজে নিতে পারবেন মনের মত পরকীয়ার সঙ্গী। অ্যাশলে ম্যাডিসন ডটকমের স্লোগান- 'জীবন ছোট, একটি প্রেম করুন'!
অনলাইনে ক্রমশ বাড়ছে এমন বিভিন্ন ধরনের চিটিং সাইটের প্রসার ও ব্যবহার। আর এসব সাইটের কারণে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে পরকীয়ার মতো ঘটনা। অনেকেই এসব সাইটের সাহায্যে দাম্পত্য জীবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে কিংবা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করছে। লাখ লাখ মানুষের গন্তব্য এখন ডেটিং ওয়েবসাইটগুলো।
এ প্রসঙ্গে ২৯ বছর বয়সী এক ভারতীয় নারী বলেন, এ ধরনের ওয়েবসাইটের সাহায্যে তিনি তার অবিশ্বস্ত স্বামীর প্রতি প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। আবার ৪৫ বছর বয়সী এক বিবাহিত পুরুষ বলেন, এটা তার পরিবার ভাঙতে ইন্ধন যুগিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাশলে ম্যাডিসন ডটকমের মত আরো ডজনখানেক 'চিটিং' ওয়েবসাইট এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ ধরনের একটি ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা নোয়েল বাইডারম্যান নিজেদের সাফাইতে বলেন, "কেউ আমাকে এমন কোনো সমাজ দেখাতে পারবে না, যেখানে বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনা ঘটে না।"
তাহলে প্রশ্ন আসে, এসব সাইট কি 'বিশ্বাসভঙ্গ' উৎসাহিত করছে?
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর পিপার স্কুয়ার্জ বলেন, "আমার ধারণা, কিছু মানুষ তাদের সম্পর্কের বাইরে যৌনতা কামনা করে কিন্তু কীভাবে তা করবে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারে না। তাদেরকে কেবল রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে এসব সাইট।