প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করুন, কিন্তু সরকারের সামনে বাধা সৃষ্টি করবেন না। সরকারবিরোধীদের ইন্ধন বা উসকানি দেবেন না। এটা গণমাধ্যমের কাজ নয়।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই ইফতার মাহফিলের পর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সরকারের কাজের সহায়ক হতে পারে। এ ধরনের সংবাদ সমাজের অনেক অসংগতি দূর করতে পারে। কিন্তু গণমাধ্যমে অনেক ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়। এটা কারও জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ‘টক শো’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব টক শো যে কত টক, তা কেবল আমরা বুঝি। টকের সঙ্গে একটু ঝাল-মিষ্টি হলে ভালো হয়। কিন্তু এ একবারে বাঘা তেঁতুলের মতো টক।’
দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি গণমাধ্যমের উন্নয়নে তাঁর সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এখন দৈনিক পত্রিকা কয়েক শ। ৩২টি টিভি চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও, ৩২টি কমিউনিটি রেডিও। এর প্রায় সবগুলোরই অনুমোদন দিয়েছে তাঁর সরকার। ফলে গণমাধ্যমের ব্যাপ্তি ও প্রসার বেড়েছে। এত বড় গণমাধ্যম গঠনমূলক ভূমিকা রাখলে দেশ ও সমাজের অগ্রগতি অবশ্যই ত্বরান্বিত হবে।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশ রাজনীতির একটা বিশেষ পর্ব অতিক্রম করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ পর্ব চলছে। কিন্তু জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসী চক্রের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক পাল্লায় মাপা কিংবা দুজনের থেকেই সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি সঠিক নয়। এই নীতি ওই অপশক্তিকেই সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ছাড়াও স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যথাক্রমে বিএফইউজের একাংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। তাঁরা সবাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘গণমাধ্যমবান্ধব’ ও ‘আমাদের মানুষ’ বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের জন্য একটি আবাসিক এলাকার জায়গা চান। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন।
বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়ার পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে কয়েকজন সাংসদ, সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়: মতবিনিময় সভায় প্রথমেই যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে সাংবাদিক সেলিম সামাদের নিয়োগের প্রসঙ্গ ওঠে। একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সেলিম সামাদ সব সময় আওয়ামী লীগবিরোধী। বিগত সরকারের সময় তিনি যে নির্যাতিত হয়েছেন এবং কারাভোগ করেছেন তা সাংবাদিকতার কারণে নয়। সভায় উপস্থিত প্রায় সবাই সেলিম সামাদের বিরোধিতা করেন।
একাধিক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, সরকার অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করলেও অধিকাংশ মালিক তা মানছেন না। অনেক মালিক সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করছেন। ন্যায্য পাওনা দিচ্ছেন না। আবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিজ্ঞাপনের বাড়তি দাম নিচ্ছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, সেখানকার জাদুঘরের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। প্রধান ফটক ঢেকে আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের পোস্টারে। দর্শনার্থীদের ব্যবহারের জন্য টয়লেটগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে।
একাধিক সাংবাদিক সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের দুরবস্থার কথা শোনান প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁরা বলেন, সরকারের বরাদ্দ করা অর্থে বাসসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আট মাসের বেতন-ভাতা মেটানো যায়। বাকি চার মাসের টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হচ্ছে। তাঁরা বাসসকে একটি সার্বক্ষণিক নিউজ চ্যানেল করার প্রস্তাব করেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তিনি বলেন, নিউজ চ্যানেল নয়, বাসসকে ডিজিটালাইজ করা হবে। অনলাইনের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাসস যাতে সার্বক্ষণিক সংবাদ পরিবেশন করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বাসসকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পে সাংবাদিকদের যেসব প্লট দিয়েছেন, অনেকেই তা বিক্রি করে দিয়েছেন। সেগুলো এখন আর তাঁদের নামে নেই। এরপর আবার তাঁরা হয়তো নতুন কোনো প্রকল্পে প্লট নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার।
সভায় মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাংবাদিকদের নিয়োগের বিষয়ে বিএফইউজে-ডিইউজে কখনো কিছু জানতে পারে না। যে মালিকেরা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেন না, দেখা যায় তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সফরে সঙ্গী হন। এগুলো অনেক অসংগতি সৃষ্টি করে।
এ সময় পাশে উপবিষ্ট তথ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাসদের লোকদের দায়িত্ব দিয়েছি তো, সে জন্যই এই অবস্থা। কিছু সমস্যা থাকবে। সমস্যা সমাধান করেই অগ্রসর হতে হবে।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই ইফতার মাহফিলের পর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সরকারের কাজের সহায়ক হতে পারে। এ ধরনের সংবাদ সমাজের অনেক অসংগতি দূর করতে পারে। কিন্তু গণমাধ্যমে অনেক ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়। এটা কারও জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ‘টক শো’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব টক শো যে কত টক, তা কেবল আমরা বুঝি। টকের সঙ্গে একটু ঝাল-মিষ্টি হলে ভালো হয়। কিন্তু এ একবারে বাঘা তেঁতুলের মতো টক।’
দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি গণমাধ্যমের উন্নয়নে তাঁর সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এখন দৈনিক পত্রিকা কয়েক শ। ৩২টি টিভি চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও, ৩২টি কমিউনিটি রেডিও। এর প্রায় সবগুলোরই অনুমোদন দিয়েছে তাঁর সরকার। ফলে গণমাধ্যমের ব্যাপ্তি ও প্রসার বেড়েছে। এত বড় গণমাধ্যম গঠনমূলক ভূমিকা রাখলে দেশ ও সমাজের অগ্রগতি অবশ্যই ত্বরান্বিত হবে।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশ রাজনীতির একটা বিশেষ পর্ব অতিক্রম করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ পর্ব চলছে। কিন্তু জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসী চক্রের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক পাল্লায় মাপা কিংবা দুজনের থেকেই সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি সঠিক নয়। এই নীতি ওই অপশক্তিকেই সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ছাড়াও স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যথাক্রমে বিএফইউজের একাংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। তাঁরা সবাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘গণমাধ্যমবান্ধব’ ও ‘আমাদের মানুষ’ বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের জন্য একটি আবাসিক এলাকার জায়গা চান। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন।
বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়ার পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে কয়েকজন সাংসদ, সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়: মতবিনিময় সভায় প্রথমেই যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে সাংবাদিক সেলিম সামাদের নিয়োগের প্রসঙ্গ ওঠে। একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সেলিম সামাদ সব সময় আওয়ামী লীগবিরোধী। বিগত সরকারের সময় তিনি যে নির্যাতিত হয়েছেন এবং কারাভোগ করেছেন তা সাংবাদিকতার কারণে নয়। সভায় উপস্থিত প্রায় সবাই সেলিম সামাদের বিরোধিতা করেন।
একাধিক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, সরকার অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করলেও অধিকাংশ মালিক তা মানছেন না। অনেক মালিক সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করছেন। ন্যায্য পাওনা দিচ্ছেন না। আবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিজ্ঞাপনের বাড়তি দাম নিচ্ছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, সেখানকার জাদুঘরের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। প্রধান ফটক ঢেকে আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের পোস্টারে। দর্শনার্থীদের ব্যবহারের জন্য টয়লেটগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে।
একাধিক সাংবাদিক সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের দুরবস্থার কথা শোনান প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁরা বলেন, সরকারের বরাদ্দ করা অর্থে বাসসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আট মাসের বেতন-ভাতা মেটানো যায়। বাকি চার মাসের টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হচ্ছে। তাঁরা বাসসকে একটি সার্বক্ষণিক নিউজ চ্যানেল করার প্রস্তাব করেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তিনি বলেন, নিউজ চ্যানেল নয়, বাসসকে ডিজিটালাইজ করা হবে। অনলাইনের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাসস যাতে সার্বক্ষণিক সংবাদ পরিবেশন করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বাসসকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পে সাংবাদিকদের যেসব প্লট দিয়েছেন, অনেকেই তা বিক্রি করে দিয়েছেন। সেগুলো এখন আর তাঁদের নামে নেই। এরপর আবার তাঁরা হয়তো নতুন কোনো প্রকল্পে প্লট নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার।
সভায় মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাংবাদিকদের নিয়োগের বিষয়ে বিএফইউজে-ডিইউজে কখনো কিছু জানতে পারে না। যে মালিকেরা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেন না, দেখা যায় তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সফরে সঙ্গী হন। এগুলো অনেক অসংগতি সৃষ্টি করে।
এ সময় পাশে উপবিষ্ট তথ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাসদের লোকদের দায়িত্ব দিয়েছি তো, সে জন্যই এই অবস্থা। কিছু সমস্যা থাকবে। সমস্যা সমাধান করেই অগ্রসর হতে হবে।