মঙ্গলবার, জুলাই ০১, ২০১৪

'খেলাফত' রাষ্ট্রের ঘোষণা আইএসআইএল জঙ্গিদের

ইরাকে রণাঙ্গনে সক্রিয় আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত) 'খেলাফত রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। এই খেলাফত রাষ্ট্রের খলিফা হলেন কট্টর সুন্নিপন্থী সংগঠনটির প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি। বিশ্বের সব মুসলমানকে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশেরও আহ্বান জানিয়েছে তারা।
'খেলাফত' রাষ্ট্রের ঘোষণা আইএসআইএল জঙ্গিদের
গত রবিবার ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া বিবৃতি ও অডিও বার্তায় আইএসআইএল এই ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে এখন থেকে নিজেদের কেবল ইসলামিক স্টেট (আইএস) হিসেবে পরিচিত করারও ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ইরাকের দিয়ালা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে শরিয়াভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আইএসআইএলের জঙ্গিরা। অতীতে এই অঞ্চলটি 'লেভান্ত' নামে পরিচিত ছিল। সর্বশেষ উসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধীনে খেলাফতি ধারার ইসলামী সরকার ব্যবস্থা চালু ছিল। সেটিও গত হয়েছে প্রায় এক শ বছরের কাছাকাছি।
মাত্র দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে এই জঙ্গিরা ইরাকের সিংহভাগ এলাকায় দখল প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে তিকরিতসহ কয়েকটি অংশে ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক লড়াই চলছে। দেশটির প্রয়াত শাসক সাদ্দাম হোসেনের জন্মশহরটিকে ১১ জুন নিজেদের কবজায় নেয় জঙ্গিরা। তবে সেটির পুনরুদ্ধারে গত কয়েক দিন ধরে একযোগে স্থল ও আকাশ থেকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনারা।
আইএসআইএলের 'খেলাফত রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় রণাঙ্গনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ঘোষণাটি সংগঠনটির আত্মবিশ্বাসকে নির্দেশ করে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘোষণা রক্ষণশীল উপসাগরীয় দেশগুলোর শাসকদের প্রতি একটি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। ওই সব দেশের শাসকরা সংগঠনটিকে তাঁদের জন্য হুমকি মনে করেন। আইএসআইএলের এ ঘোষণা আল-কায়েদার নেতাদের জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, শরিয়াভিত্তিক ইসলামী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াই করছে আল-কায়েদা। তাদের থেকে পৃথক হয়ে আইএসআইএল আত্মপ্রকাশ করেছে। আল-কায়েদা এর আগে এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছিল। সূত্র : এএফপি।