জাতিসংঘ সদর দপ্তর সফর ও মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কিত সংলাপ নিয়ে কোনো কথাই হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই বিশ্ব সংস্থায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এম আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, সংলাপ নিয়ে পত্রিকায় যে খবর বেরিয়েছে তা একেবারে অবান্তর ও মনগড়া। গতকাল সোমবার সিলেট সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আবদুল মোমেন বলেন, 'রাষ্ট্রপতি গিয়েছিলেন বিলবিয়ায়। ফেরার পথে নাতিকে দেখতে নিউ ইয়র্ক আসেন। আমরা তাঁকে অনুরোধ করি নিউ ইয়র্ক যখন এসেছেন জাতিসংঘ সদর দপ্তর ঘুরে যান। তিনি রাজি হন। আমরা মহাসচিবের সঙ্গে কথা বললাম। তিনিও সানন্দে তাঁকে স্বাগত জানান।'
তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়। একেবারে ইনফরমালি। বৈঠকে কোনো পয়েন্ট ছিল না। আমরাও সেখানে ছিলাম। বান কি মুন তাঁর স্মৃতিকথা বলেন। তিনি আমাদের রাষ্ট্রপতির মতো মাত্র ২৬ বছর বয়সে পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতিও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। একপর্যায়ে গণতন্ত্র ও সংলাপের বিষয়টি আসে। মহাসচিব এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রশ্ন করেননি। যদিও তাঁদের আলোচনার জন্য একটি এজেন্ডা ছিল, কিন্তু তাঁদের আলোচনা এজেন্ডার মধ্যে থাকেনি।
মহাসচিব বলেছিলেন, সংলাপ হচ্ছে গণতন্ত্রের অংশ। কোনো কমিউনিটির মধ্যে ডায়লগ না থাকলে রেডিকেলাইজেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সরকারে কাজ করতে হলে সব সময় ডায়লগ করতে হয়। কিন্তু পরে দেখলাম, আমাদের দেশের পত্রপত্রিকায় বড় বড় করে ছাপা হয়েছে রাষ্ট্রপতি নাকি বলেছেন, পাঁচ বছর পর সংলাপ হবে। যদি আমার কান ঠিক থাকে, তাহলে এই রমজান মাসে বলছি, এ রকম কোনো কথা আমি শুনিনি। পত্রিকায় যারা লিখেছেন, তাঁরা মনগড়া বলেছেন। রাষ্ট্রপতির চরিত্র হরণ করেছেন। এভাবে নিজের অভিমতকে অন্যের নামে চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।