বৃহস্পতিবার, জুলাই ০৩, ২০১৪

বিশ্বকাপের দেশে মৃত্যুর হাতছানি!

বিশ্বকাপের দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভীষিকাময় মৃত্যুর ভয়। তাও সাও পাওলোর কাছেই। ব্রাজিলের সাও পাওলোর উককূলবর্তী একটি দ্বীপে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের বাস যার নাম গোল্ডেন লান্সিহেড ভাইপার। লিয়া ডি কুয়েমাডা গ্র্যান্ডি নামের ওই দ্বীপের প্রতি স্কয়ার মিটারেই পাঁচটি করে এই সাপ পাওয়া যাবে বলে জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এই সাপের কারণে দ্বীপটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দ্বীপ বলে মনে করা হয়।
সবমিলিয়ে সেখানে রয়েছে প্রায় চার হাজার বিষধর গোল্ডেন লান্সিহেড ভাইপার। তবে এ জন্য ধন্যবাদ জানানো যায় গত ১১ হাজার বছরে ক্রমশ ওপরের দিকে উঠে আসা সমুদ্রপৃষ্ঠকে। এতে দ্বীপটি সাও পাওলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই দ্বীপে মাটিতে থাকে এমন বন্য প্রাণীর সংখ্যা কম থাকায় এবং শিকারি পশুর অভাব তাদের দিয়েছে নিরাপত্তা। খাদ্যের উৎস হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে পরিযায়ী পাখিদের।
শিকারদের খাবারে পরিণত করার প্রয়োজনের সঙ্গে যেন তাদের বিষও ব্রাজিলের অন্যান্য সাপের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত। তাদের বিষ নিয়ে কোনো পাখি উড়ে পালিয়ে যেতে পারে না। এই বিষ এতটা শক্তিশালী যে তা মানুষের মাংস গলিয়ে দেয় এবং এক ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু অনিবার্য। এদের প্রতিটি কামড়ে মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা ৭ শতাংশ। সেখানে কোনো মানুষ বাস করে না। তবে নৌ বাহিনীর একটি ষয়ংক্রিয় লাইটহাউজ রয়েছে যা বছরে একবার দেখে আসা হয়। সেখানে কেউ ডিউটি দিতে যান না। কারণ এর আগে শেষবারের মতো যিনি লাইটহাউজের দেখাশোনায় ছিলেন, তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানকে মেরে ফেলে ওই সাপ। এ তথ্য জানায় আটলাস অবসকিউরা। সাপের কামড় খেয়ে তারা পালিয়ে কোনরকমে নৌকায় ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি।
বর্তমানে কেউ সেখানে যেতে চাইলে ব্রাজিল সরকারের অনুমতি লাগবে। আর তার সঙ্গে একজন মাত্র চিকিৎসক নিয়ে যেতে পারবেন।
ব্রাজিলে আরো একটি ভয়ঙ্কর জিনিসের বাস। তা হলো বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মাকড়সা। সূত্র : ফক্স নিউজ