শুক্রবার, জুলাই ০৪, ২০১৪

মেয়েকে ধর্ষণ করছেন এক বাবা !

নয় বছর বয়স থেকেই মেয়েকে ধর্ষণ করছেন এক বাবা৷ এরই মাঝে মেয়েটি গর্ভবতী হয় ও নিজের বাবার সন্তানের জন্ম দেয়৷ কিন্তু ওই ব্যক্তি নিজের মায়ের সঙ্গে মিলে সদ্যজাত শিশুটিকে মেরে তাকে মাটিতে পুঁতে দেয়৷ মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে এমনই ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ এই মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছে৷
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিশোরীর বাবা ও তার ঠাকুমা হাসপাতালের কর্মচারীদের জানায় কিশোরীকে তার প্রেমিক গর্ভবতী করে পালিয়েছে৷
এরপর মেয়েটির সন্তানের জন্ম দিলে তারা বাবা ও ঠাকুমা শিশুটিকে মেরে ফেলে৷ মেয়েটি কোন রকমে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে একটি এনজিও ‘চৈতন্য মহিলা মন্ডলে’ এসে পৌঁছায়৷ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে কিশোরী তার বাবা ও ঠাকুমার বিরুদ্ধে আভিযোগ দায়ের করে৷
এই মামলার তদন্তকারী সাব ইন্সপেক্টর ছায়া কাম্বলে জানিয়েছেন, নির্যাতিতা তার অভিযোগ জানিয়েছে নয় বছর বয়স থেকে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে৷
কিন্তু এবার সে গর্ভবতী হলে তাকে হাসপাতেল নিয়ে যাওয়া হয় ও চিকিৎসকদের কাছে মিথ্যা বয়ান দেওয়া হয়৷ কাম্বলে জানান, মেয়েটি পুনা থেকে প্রায় ৪৫০ দুরে বাশিং শহরে একটি সন্তানের জন্ম দেয়৷ এরপরই তার বাবা ও ঠাকুমা মিলে নবজাতকটিকে মাটিতে পুঁতে দেয়৷
জানা গেছে মেয়েটির বাবা একটি বিখ্যাত শপিং মলে কর্মরত৷ কিশোরীর বাবা ও ঠাকুমার বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারা ও পাস্কো অধিনিয়ম ২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের আদালতে পেশ করা হবে৷