উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি আন্তর্জাতিকমানের না হওয়ায় এবং শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার আন্তরিক না হওয়ায় এবং এ বিষয়ে দৃশ্যত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষমেষ গত বছর জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পুনর্বিবেচনার পূবশর্ত হিসেবে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে একটি কর্মপরিকল্পনা বেঁধে দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। উক্ত কর্মপরিকল্পনার আলোকে বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ-এর ভাষায় আমেরিকার দেওয়া শর্তের ৯৮ ভাগ বাস্তবায়ন শেষ করে গত আগস্টে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় সরকার। এমনকি জিএসপি ফিরে পেতে গত মাসের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ম্যারাথন দৌড়ঝাপ করে গেছেন খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই। এ বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তখন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএসপি ফিরে পাওয়ার পক্ষে প্রবল আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল মার্কিন বানিজ্য মন্ত্রী সুস্পষ্ঠভাবে বলেন, বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইন বাস্তবায়নের ধীরগতি, বিপুল সংখ্যক পোশাক কারখানার এখনো নিরাপত্তা পরিদর্শন সম্পূর্ণ না হওয়া এবং নিজস্ব অধিকার আদায়ে চেষ্টারত শ্রমিকদের উপর এখনো অব্যাহতভাবে চলমান সহিংসতা ও দায়িত্বপালনে হেনস্তার মতো বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভীষণ উদ্বিগ্ন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অগ্রাধিকার মূলক বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি পুনর্বহাল বিষয়ে আগামী ডিসেম্বরে আরেকটি পর্যালোচনা অনুষ্টিত হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।






