সোমবার, জুলাই ১৪, ২০১৪

আলোচনায় সমাধান না হলে আন্দোলনেই বিদায়: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা হবে। তাই ঈদের পর সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনৈতিক নেতা ও  বিভিন্ন  দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত ইফতার পার্টিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত। জনগণ বন্দিদশায়। পবিত্র রমজান মাসেও শান্তি নেই। নেই জীবনের নিরাপত্তা। চাঁদাবাজি জুলুম ও অত্যাচার বেড়েছে। প্রতিদিন মানুষ গুম ও খুন হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে বেড়েছে চাঁদাবাজি। দ্রব্যমূল্যে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এসব  দেখার জন্য  দেশে  কোন  সরকার নেই। তাই  দেশবাসী এখন তাদের  নির্বাচিত প্রতিনিধি  চায়। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এদের হাতে  দেশের অর্থনীতি নিরাপদ নয়। সরকারি ব্যাংক লুটপাট করার পর এবার  বেসরকারি ব্যাংক ধ্বংসের দিকে তাদের চোখ। সাবেক  প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, ১৮ দল  থেকে ২০ হয়েছে।  শুধু ২০ দল নয়, আরও অনেকেই আমাদের সঙ্গে আসবেন। যোগাযোগ  হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেশের ৫ ভাগ মানুষও নেই। ৯৫ ভাগ মানুষ আমাদের সঙ্গে। জাতীয় সংসদকে ‘সঙের আড্ডাখানা’ মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) কথা অনুযায়ী কাজ করে না।  দেশের মঙ্গল চায় না। সংসদে এখন গান-বাজনা, নাটক  কবিতা ও অভিনয় হচ্ছে। সংসদ সদস্যরা সবাই সঙ সেজে বসে থাকে। তরুণরা  ভোটার হয়েও ভোট দিতে পারেননি। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ জন্য ঈদের পর সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। জাপার একাংশের সভাপতি কাজী জাফর আহমেদের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ব্রি. জে. (অব.) আসম হান্নান শাহ, ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা  ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী  সেক্রেটারি  জেনারেল আবদল্লাহ  মোহাম্মদ তাহের, শামীম বিন সাঈদী, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মওলানা ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান  মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী,  জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির  চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.)  সৈয়দ মো. ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, জাতীয়  পার্টির মহাসচিব  মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. টিএম আই ফজলে রাব্বি, এমএম আলম, নবাব আলী আব্বাস, আহসান হাবিব লিংকন, খালিকুজ্জামান চৌধুরী, আতিকুর রহমান আতিক, সফিউদ্দিন ভূইয়া, মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে গণস্বাস্থ্যের  পরিচালক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক পিয়াস করিমসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, মরক্কো ও লিবিয়ার  রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আজ সংসদ ভবনে এলডি হলে ড্যাব আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া।