বেশ বাজেভাবেই বিশ্বসেরার আসন থেকে ছিটকে গেছে স্পেন। টানা দুটি ইউরো ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধাও পেরোতে পারেনি। বিশ্ব ফুটবলে স্প্যানিশ আধিপত্যের ইতি ঘটেছে বলেই মনে করছেন ফুটবল বোদ্ধারা। তবে একটা জায়গায় ঠিকই বজায় আছে স্প্যানিশ আধিপত্য। সবচেয়ে ধনী ক্লাবের তালিকায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা আছে দ্বিতীয় স্থানে।
ক্রীড়াবিশ্বের সব ক্লাবকে বিবেচনায় নিয়ে শীর্ষ ধনী ক্লাবের এ তালিকাটি তৈরি করে আমেরিকার বাণিজ্যিক ভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস। গতবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ শীর্ষে আছে ৩৪৪ কোটি ডলার নিয়ে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩২০ কোটি ডলার। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আছে তৃতীয় স্থানে। শীর্ষ দশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছে আর মাত্র একটি ফুটবল ক্লাব। জার্মান লিগজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ আছে সপ্তম স্থানে। ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে আছে আর্সেনাল (১৬), চেলসি (৪৮), ম্যানচেস্টার সিটি (৪৯) ও এসি মিলান (৫০)।
ফোর্বসের এই ৫০টি ধনী ক্লাবের তালিকায় ৩০টিই এসেছে আমেরিকার ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল) থেকে। আমেরিকার বেসবল লিগ ও বাস্কেটবল লিগ থেকে এসেছে ছয়টি ও চারটি দল।
ফোর্বসের শীর্ষ দশ
১. রিয়াল মাদ্রিদ— ৩৪৪ কোটি ডলার
২. বার্সেলোনা — ৩২০ কোটি ডলার
৩. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড— ২৮১ কোটি ডলার
৪. নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিস— ২৫০ কোটি ডলার
৫. ডালাস কাউবয়েজ— ২৩০ কোটি ডলার
৬. লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স— ২০০ কোটি ডলার
৭. বায়ার্ন মিউনিখ— ১৮৫ কোটি ডলার
৮. নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়টস— ১৮০ কোটি ডলার
৯. ওয়াশিংটন রেডস্কিনস— ১৭০ কোটি ডলার
১০. নিউইয়র্ক জায়ান্টস— ১৫৫ কোটি ডলার