ফিলিস্তিন-শাসিত গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস ও ইসরায়েল পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি চলবে।
গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই থেকে গত নয় দিনে ইসরায়েলের প্রায় একতরফা হামলায় অন্তত ২২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক।
অপরদিকে ইসরায়েল বলছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় এ পর্যন্ত একজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির অনুরোধটি এসেছে। গাজার অধিবাসীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করার সুযোগ দিতে আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত হামলা চালাবে না ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুখরি। তিনি বলেছেন, তাঁরাও এই সময়ে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া বন্ধ রাখবেন।
তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হলে তার কড়া জবাব দেবে তেল আবিব।
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পর গত মঙ্গলবার থেকে আবার ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার বেপরোয়া হামলায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। গাজা সিটির কাছে একটি সমুদ্রসৈকতে খেলার সময় ইসরায়েলের হামলায় তারা নিহত হয়।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় হতাহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, নতুন করে হামলা শুরুর আগে গতকাল গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। বুধবার ভোর পাঁচটায় ওই বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলা হয়। গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে হাজার হাজার বাসিন্দাকেও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। বিমান থেকে প্রচারপত্র ফেলে ও রেকর্ড করা বার্তা প্রচার করে ফিলিস্তিনিদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা গাজার দুটি শহরের বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, মঙ্গলবার থেকে নতুন অভিযানে গাজায় ৯৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ শুরু করার পর প্রথম আট দিনে গাজায় এক হাজার ৭৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের প্রায় একতরফা সামরিক অভিযান বন্ধ করতে প্রতিবেশী মিসর গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে। মিসরের ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। সাময়িকভাবে হামলাও বন্ধ করে ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে জানায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। এটি ‘আত্মসমর্পণের’ সমতুল্য। হামাস পূর্ণাঙ্গ কোনো চুক্তি ছাড়া রকেট হামলা বন্ধ করবে না। এরপর আবার গাজায় হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সূত্রপাত ইসরায়েলি তিন কিশোরকে সম্প্রতি অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। হামাসই ওই ঘটনা ঘটায় বলে মনে করে ইসরায়েল। তবে হামাস তা অস্বীকার করে। পরে ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে একইভাবে হত্যা ও অপহরণের পর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। এরপর গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে—এমন দাবি তুলে ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ শুরু করে ইসরায়েল।
এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিলিস্তিনের দুই অংশ পশ্চিম তীর ও গাজা ২০০৭ সালের আগস্টে চলে যায় দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ পশ্চিম তীরে ও খালেদ মেশালের নেতৃত্বে হামাস গাজা শাসন করছিল। এই অবস্থায় গত এপ্রিলে দুই দলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। কিন্তু হামাস-ফাতাহর চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। তাদের মতে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। হামাস-ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার হলে সেই সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েল।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের শুরু। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীন সত্তা মেনে নিতে রাজি নয় ইসরায়েল।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি চলবে।
গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই থেকে গত নয় দিনে ইসরায়েলের প্রায় একতরফা হামলায় অন্তত ২২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক।
অপরদিকে ইসরায়েল বলছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় এ পর্যন্ত একজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির অনুরোধটি এসেছে। গাজার অধিবাসীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করার সুযোগ দিতে আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত হামলা চালাবে না ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুখরি। তিনি বলেছেন, তাঁরাও এই সময়ে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া বন্ধ রাখবেন।
তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হলে তার কড়া জবাব দেবে তেল আবিব।
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পর গত মঙ্গলবার থেকে আবার ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার বেপরোয়া হামলায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। গাজা সিটির কাছে একটি সমুদ্রসৈকতে খেলার সময় ইসরায়েলের হামলায় তারা নিহত হয়।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় হতাহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, নতুন করে হামলা শুরুর আগে গতকাল গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। বুধবার ভোর পাঁচটায় ওই বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলা হয়। গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে হাজার হাজার বাসিন্দাকেও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। বিমান থেকে প্রচারপত্র ফেলে ও রেকর্ড করা বার্তা প্রচার করে ফিলিস্তিনিদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা গাজার দুটি শহরের বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, মঙ্গলবার থেকে নতুন অভিযানে গাজায় ৯৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ শুরু করার পর প্রথম আট দিনে গাজায় এক হাজার ৭৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের প্রায় একতরফা সামরিক অভিযান বন্ধ করতে প্রতিবেশী মিসর গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে। মিসরের ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। সাময়িকভাবে হামলাও বন্ধ করে ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে জানায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। এটি ‘আত্মসমর্পণের’ সমতুল্য। হামাস পূর্ণাঙ্গ কোনো চুক্তি ছাড়া রকেট হামলা বন্ধ করবে না। এরপর আবার গাজায় হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সূত্রপাত ইসরায়েলি তিন কিশোরকে সম্প্রতি অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। হামাসই ওই ঘটনা ঘটায় বলে মনে করে ইসরায়েল। তবে হামাস তা অস্বীকার করে। পরে ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে একইভাবে হত্যা ও অপহরণের পর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। এরপর গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে—এমন দাবি তুলে ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ শুরু করে ইসরায়েল।
এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিলিস্তিনের দুই অংশ পশ্চিম তীর ও গাজা ২০০৭ সালের আগস্টে চলে যায় দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ পশ্চিম তীরে ও খালেদ মেশালের নেতৃত্বে হামাস গাজা শাসন করছিল। এই অবস্থায় গত এপ্রিলে দুই দলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। কিন্তু হামাস-ফাতাহর চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। তাদের মতে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। হামাস-ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার হলে সেই সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েল।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের শুরু। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীন সত্তা মেনে নিতে রাজি নয় ইসরায়েল।