ব্রাজিলে গিয়েছিলেন দলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময়দের একজন হিসেবে। পারফর্ম করতে না পারায় জায়গা হারিয়েছিলেন একাদশে। তবে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে অসাধারণ এক গোল করে শেষ পর্যন্ত তিনিই জার্মান নায়ক। একটি বিদেশি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিও গোটশে শোনাচ্ছেন বিশ্বজয়ের অনুভূতির কথা
কেমন লাগছে?
মারিও গোটশে: আকাশে ভাসছি, সত্যিই! আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন ও পরের চার বছরের জন্য। আকাশে ভাসাই তো উচিত! আমাদের বিচরণ এখন স্বপ্নের জগতে।
কখনো কি ভাবতে পেরেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে দলকে জেতানো গোল করবেন?
গোটশে: বিশ্বকাপ ফাইনালে জয়সূচক গোল করার কথা কেউ কেবল স্বপ্নেই ভাবতে পারে। আমি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েই রোমাঞ্চিত ছিলাম। বিশ্বকাপ খেলাই ছিল আমার স্বপ্ন, দলে জায়গা পেয়ে তাই ছিলাম উচ্ছ্বসিত। কিন্তু সত্যিই বিশ্বকাপ ফাইনালে দলকে জয় এনে দেওয়া গোল করা, সেটাও আবার বদলি নেমে...এক কথায় অবিশ্বাস্য!
লাতিন আমেরিকায় বিশ্বকাপজয়ী প্রথম ইউরোপিয়ান দেশ জার্মানি...
গোটশে: হুম...এসব নিয়ে তো সব সময় কথা হয়েছেই। আমরা ফাইনালে ওঠার পর আরও একবার আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল জিতলে আমরাই হব প্রথম ইউরোপিয়ান দেশ। ইউরোপেও একমাত্র লাতিন দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। সেই ব্রাজিলেই এমন কিছু করতে পেরে আমরা বাড়তি তৃপ্তি পেয়েছি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে, স্রেফ বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে তৃপ্তির আর কিছু নেই।
ফাইনাল জয়ের পর খানিকটা চাপা পড়ে গেছে, কিন্তু ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারানোও তো ছিল দারুণ কিছু...!
গোটশে: সেদিন আমরা একেবারে নিখুঁত ফুটবল খেলেছি, কোনো ভুল করিনি। একমাত্র ভুল হয়তো ওই গোলটা হজম করা। ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকে হারানো, সেটাও আবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অত বড় ব্যবধানে, সবকিছুই ছিল অভাবনীয়। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আমাদের চোখ ছিল ফাইনালে। সেই ভাবনা নিয়েই খেলেছিলাম।
ফাইনালের আগে ড্রেসিংরুমের আবহ কেমন ছিল?
গোটশে: ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা সবাই, মাঠে নামতে তর সইছিল না। আমরা জানতাম, আর্জেন্টিনা কীভাবে খেলতে যাচ্ছে। জানতাম, ওরা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। ওরা কিছু সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছিল। তবে দিনশেষে আমরা জিতেছি এবং সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরম্যান্সের কথা ভাবলে আমরাই ছিলাম সেরা দল। বিশ্বকাপ আমাদেরই প্রাপ্য ছিল।
একাদশে তো নিয়মিত সুযোগ পাননি...
গোটশে: সবাই সব ম্যাচ খেলতে চায়, কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। আমাদের জন্য, কোচ সব সময়ই ঠিক। বায়ার্নে খেলার সময়ই একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। নিয়মিত খেলতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি সর্বস্ব উজাড় করে চেষ্টা করে গেছি। আর আমার পরিবার, চারপাশের সবাই আমাকে সব সময় সমর্থন করে গেছে। এসবের জন্য কোনো কৃতজ্ঞতাই যথেষ্ট নয়।
তো, এরপর কী?
গোটশে: সময় এখন পার্টি করার! সেটাই আমরা করছি। এবং করব আরও কিছুদিন। বিশ্বজয়ের পর কিছুদিন উৎসব করতেই পারি। এরপর আবার ট্রেনিংয়ে ফেরার সেই কঠিন সূচি। কিন্তু ট্রেনিং শুরুর আগ পর্যন্ত আমরা বিজয় উদ্যাপন করব। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ উপভোগ করব তারিয়ে তারিয়ে।
কেমন লাগছে?
মারিও গোটশে: আকাশে ভাসছি, সত্যিই! আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন ও পরের চার বছরের জন্য। আকাশে ভাসাই তো উচিত! আমাদের বিচরণ এখন স্বপ্নের জগতে।
কখনো কি ভাবতে পেরেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে দলকে জেতানো গোল করবেন?
গোটশে: বিশ্বকাপ ফাইনালে জয়সূচক গোল করার কথা কেউ কেবল স্বপ্নেই ভাবতে পারে। আমি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েই রোমাঞ্চিত ছিলাম। বিশ্বকাপ খেলাই ছিল আমার স্বপ্ন, দলে জায়গা পেয়ে তাই ছিলাম উচ্ছ্বসিত। কিন্তু সত্যিই বিশ্বকাপ ফাইনালে দলকে জয় এনে দেওয়া গোল করা, সেটাও আবার বদলি নেমে...এক কথায় অবিশ্বাস্য!
লাতিন আমেরিকায় বিশ্বকাপজয়ী প্রথম ইউরোপিয়ান দেশ জার্মানি...
গোটশে: হুম...এসব নিয়ে তো সব সময় কথা হয়েছেই। আমরা ফাইনালে ওঠার পর আরও একবার আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল জিতলে আমরাই হব প্রথম ইউরোপিয়ান দেশ। ইউরোপেও একমাত্র লাতিন দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। সেই ব্রাজিলেই এমন কিছু করতে পেরে আমরা বাড়তি তৃপ্তি পেয়েছি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে, স্রেফ বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে তৃপ্তির আর কিছু নেই।
ফাইনাল জয়ের পর খানিকটা চাপা পড়ে গেছে, কিন্তু ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারানোও তো ছিল দারুণ কিছু...!
গোটশে: সেদিন আমরা একেবারে নিখুঁত ফুটবল খেলেছি, কোনো ভুল করিনি। একমাত্র ভুল হয়তো ওই গোলটা হজম করা। ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকে হারানো, সেটাও আবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অত বড় ব্যবধানে, সবকিছুই ছিল অভাবনীয়। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আমাদের চোখ ছিল ফাইনালে। সেই ভাবনা নিয়েই খেলেছিলাম।
ফাইনালের আগে ড্রেসিংরুমের আবহ কেমন ছিল?
গোটশে: ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা সবাই, মাঠে নামতে তর সইছিল না। আমরা জানতাম, আর্জেন্টিনা কীভাবে খেলতে যাচ্ছে। জানতাম, ওরা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। ওরা কিছু সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছিল। তবে দিনশেষে আমরা জিতেছি এবং সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরম্যান্সের কথা ভাবলে আমরাই ছিলাম সেরা দল। বিশ্বকাপ আমাদেরই প্রাপ্য ছিল।
একাদশে তো নিয়মিত সুযোগ পাননি...
গোটশে: সবাই সব ম্যাচ খেলতে চায়, কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। আমাদের জন্য, কোচ সব সময়ই ঠিক। বায়ার্নে খেলার সময়ই একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। নিয়মিত খেলতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি সর্বস্ব উজাড় করে চেষ্টা করে গেছি। আর আমার পরিবার, চারপাশের সবাই আমাকে সব সময় সমর্থন করে গেছে। এসবের জন্য কোনো কৃতজ্ঞতাই যথেষ্ট নয়।
তো, এরপর কী?
গোটশে: সময় এখন পার্টি করার! সেটাই আমরা করছি। এবং করব আরও কিছুদিন। বিশ্বজয়ের পর কিছুদিন উৎসব করতেই পারি। এরপর আবার ট্রেনিংয়ে ফেরার সেই কঠিন সূচি। কিন্তু ট্রেনিং শুরুর আগ পর্যন্ত আমরা বিজয় উদ্যাপন করব। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ উপভোগ করব তারিয়ে তারিয়ে।