বৈঠকে জয় বলেন, চার বছর আগে থেকেই আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় নিয়ে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করতে হবে। জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। জানা যায়, আপাতত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে নিজের মতো করে দলে তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চান জয়। এর আগে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর জেলা থেকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ নেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বাদে দলে তার সাংগঠনিক পদবি এখনো তাই। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও মাঝেমধ্যে দলের প্রয়োজনে দেশে আসেন জয়। এবার গত ২০ জুন দেশে আসেন সপরিবারে। প্রযুক্তিগতভাবে দলকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে বেশি কাজ করছেন জয়। এবার এক মাস দেশে থাকবেন। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি জনসভায় বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে তিনি যাননি। দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও গত বৃহস্পতিবার তরুণদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেন। গত বছরের জুলাই মাসে যুবলীগের এক ইফতার পার্টিতে তিনি বলেন, তার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। তার এই বক্তব্যই প্রথম রাজনৈতিক অঙ্গনে হৈচৈ ফেলে দেয়, বিরোধী বিএনপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়, আওয়ামী লীগের তরফ থেকেও ব্যাখ্যা দিয়ে পাল্টা বক্তব্য দেয়া হয়। তবে তখন টানা ৫ সিটিতে পরাজয়ের পর দলের নেতাকর্মীদের মনে সাহস আসে জয়ের এ বক্তব্যের পর। তার পর থেকেই সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরসহ দেশের কয়েকটি জেলা সফর করেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জয়ের পেজটিও ভেরিফাইড করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত জয়ের ফেসবুক পেজটিতে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৪ জন লাইক করেছে। জয় মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও নিজের এ পেজটিতে দেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সরব থাকেন। সর্বশেষ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে খালেদা জিয়ার ‘নালিশে’র সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেন। গত বৃহস্পতিবারই প্রথম নিজের দল আওয়ামী লীগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা সংগঠনটাকে সফলভাবে চালানো। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দলকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জয়ের রাজনীতিতে আসাকে খুব ভালোভাবে দেখছেন। তিনি বলেন, সরকার যত বেশি শক্তিশালী হোক তার মূল চালিকা সংগঠন। আমাদের তরুণ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় সংগঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। তার এ উদ্যোগ সংগঠনকে জনগণের কাছে নিয়ে জনগণ ও সাধারণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
উৎসঃ মানবকন্ঠ