এ অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর বিস্তারিত সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করা শিক্ষার্থীদের এক তৃতীয়াংশের মৌলিক অক্ষর ও সংখ্যা জ্ঞানে দুর্বলতা রয়েছে। শিক্ষকদের অবস্থাও উদ্বেগজনক। গ্রামীণ অঞ্চলে এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা ছাত্রদের তুলনায় সামান্য বেশি জানেন।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষতা খুবই নিম্ন পর্যায়ের। পঞ্চম শ্রেণীর দুর্বল ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী তৃতীয় শ্রেণীর প্রথম দিকের (ফলাফলের বিচেনায়) ২০ শতাংশের তুলনায় দক্ষতায় পিছিয়ে আছে। গণিতের পাশাপাশি ভাষাজ্ঞানে দুর্বলতাও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে রয়েছে।”
“স্কুলের তহবিলের জন্য টাকা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। স্কুল পরিচালনা কমিটি অনেক সময় তাদের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগ দেয়। ফলে যোগ্য প্রার্থী বাদ পড়ে যান।” বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
হতাশাজনক এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক।
এগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পুষ্টি, শিক্ষকদের গুণগত মান বাড়ানো, শিক্ষাখাতে আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানো, বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পরিমাপ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো।






