শুক্রবার, জুলাই ০৪, ২০১৪

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বেগ জানিয়ে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি

গার্মেন্ট শ্রমিক নেতাদের ওপর ক্রমবর্ধমান হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যান। তারা হলেন- জর্জ মিলার, ইলিয়ট এল এনজেল, স্যান্ডার এম লেভিন, জোসেফ ক্রাউলি, গ্রেস মেং ও জ্যানিস ডি সাকোস্কি। তারা শ্রমিকদের ওপর সহিংসতা ও হয়রানির মারাত্মক অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিল। এটি ওয়াশিংটনের নিউজ কমিউনিকেশন ইনকরপোরেশনের একটি সহযোগী প্রকাশনা। এতে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট প্রাধান্য পায়। প্রধানমন্ত্রীকে এ সপ্তাহে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের ওপর ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। কংগ্রেস ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য এটি মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। সামপ্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র সফর করে আসা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েলের নেতৃত্বে বাংলাদেশী প্রতিনিধি দলকেও তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছেন কংগ্রেসম্যানরা। তারা প্রধানমন্ত্রীকে আরও লিখেছেন, আমরা আশা করি আপনি ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ আপনার সরকারের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এ হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের ব্যাপারে সঠিক তদন্ত যাতে হয় সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এটা নিশ্চিত করবেন যে, এ ধরনের ঘটনা আর সহ্য করা হবে না। হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিজিএমইএ সভাপতিও এ দলে যোগ দিয়েছেন। সরকার ও শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ ধরনের প্রকাশ্যে বিবৃতি শুধু অনুপযুক্তই নয়, বরং তারা এমন একটি বার্তা পাঠালেন যা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক নয়। কংগ্রেসম্যানরা শ্রমিক ইউনিয়ন সুরক্ষা জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি, আপনার সরকার এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেখানে শ্রমিক, মালিক, স্থানীয় পুলিশ ও মন্ত্রণালয় সবাই একসঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সংগঠন তৈরি করার অধিকারকে সমর্থন করবে, বৈষম্য ও প্রতিশোধ গ্রহণের মতো ব্যাপার থেকে মুক্ত রাখবে। জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা স্বীকার করে তারা বলেন, আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই নেয়ার আছে। আমরা অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি, যেগুলো জিএসপি সুবিধা পুনঃস্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করবে ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।