আজকের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে আলোচনা সবখানে। শক্ত
প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে জার্মানি ও ব্রাজিল। নতুন ইতিহাস গড়ার ঘোষণা
এসেছে সব শিবির থেকেই। এ যেন অন্যরকম বিশ্বযুদ্ধ। হিটলার আর নেপোলিয়নের এই
যুদ্ধে বাংলাদেশ আগের অবস্থানেই। দুই শিবিরে বিভক্ত। একদিকে ব্রাজিল আর
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা। স্কলারির মুন্সিয়ানায় আজকের ব্রাজিলের পারফরমেন্স
দেখতে পর্দার সামনে বসবে দেশের কোটি কোটি মানুষ। ম্যাচ পর্যালোচনায় দেখা
গেছে, কলম্বিয়ার সঙ্গে এ পর্যন্ত খেলায় বেশিরভাগ সময়ই জিতেছে ব্রাজিল। যদিও
এতে কলম্বিয়ার কোচ পেকারম্যানের মাথাব্যথা নেই। স্কলারি আত্মবিশ্বাসী তার
টিম নিয়ে। বলছেন, এটা কোন ঘরোয়া ম্যাচ নয়। এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল
দলগতভাবে পারঙ্গমতা প্রদর্শনে ততটা সফল না হলেও তাদের সঙ্গী হয়েছে ভাগ্য।
একইভাবে আর্জেন্টিনাকেও ফেবার করেছে অদৃশ্য শক্তি। না হলে শেষ দু’ খেলায়
ব্রাজিলের নেইমার যদি পেনাল্টিতে নাটকীয়তা না করতেন তাহলে গোলবঞ্চিত হওয়ার
সম্ভাবনা যেমন উড়িয়ে দেয়া যায় না, তেমনি অর্জেন্টিনার সঙ্গে
সুইজারল্যান্ডের খেলায় শেষ সময়ে যদি গোলভারে বল লেগে ছিটকে না পড়বে তাহলে
হিসাব হতো অন্যরকম। যাই হোক, এই নাটকীয়তায় বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শকও
দোলায়িত। একদিকে হলুদ আর অন্যদিকে আকাশি। যদি হলুদ হেরে যায় তবে অর্ধেক
বাংলাদেশ চুপ থাকবে। ব্রাজিলের হারে অর্ধেক বাংলাদেশের আনন্দ মাটি হয়ে
যাবে। বিশ্বকাপ আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে যাবে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় বিভক্ত
এই দেশ তখন দু’টুকরো হয়ে যাবে। বাকি অর্ধেক আর্জেন্টিনার ভ্যাগ্য
নির্ধারণের অপেক্ষায় থাকবে। কি হবে? শুধুই সময়ের অপেক্ষা।