রবিবার, জুলাই ০৬, ২০১৪

ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে জয়ী সচীনের এমসিসি একাদশ

২৯৪ রান তাড়া করে অ্যারন ফিঞ্চের অপরাজিত সেঞ্চুরি দৌলতে শেন ওয়ার্নের অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশকে হাসতে হাসতে সাত উইকেটে হারাল সচীন তেন্ডুলকরের এমসিসি একাদশ৷ ১৪৫ বলে ১৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ৷ অজি ওপেনারের ইনিংস সাজানো ছিল ২৩টি চার ও ছ’টি ছয়ে৷ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে জয়ী সচীনের এমসিসি একাদশ

ফিঞ্চের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন সচীন৷ কিন্তু, ব্যক্তিগত ৪৪ রানে মুরলীধরনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সচিন তেন্ডুলকর৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানানোর ঠিক ছ’ মাস ১৮দিন পর বাইশ গজে ব্যাটে নামেন লিটল মাস্টার৷ এখনও ব্যাটে ধার কমেনি মাস্টার ব্লাস্টারের৷ লর্ডসের বাইশ গজে তাঁর কভার ও স্ট্রেট ড্রাইভ দর্শকদের পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ ৪৫ বলে সাতটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ রান করে মুরলীর বলে কাট মারতে গিয়ে বোল্ড হন সচীন৷ বড় রান পাননি আর কিংবদন্তি৷ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে জয়ী সচীনের এমসিসি একাদশ

ব্যক্তিগত ২৩ রানে কলিংউডের বলে স্টাম্প-আউট হন ব্রায়ান লারা৷ শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহুল দ্রাবিড়৷ ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন শিবনারায়ণ চন্দ্রপল৷ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে জয়ী সচীনের এমসিসি একাদশ

এমসিসি-র ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে লর্ডসে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের প্রীতি ম্যাচ খেলে এমসিসি একাদশ৷ প্রথম ব্যাট করে যুবরাজের ব্যাটিং ঝড়ে ২৯৩ রান তোলে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদাশ৷ ১৩৪ বলে ১৩২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন যুবরাজ৷

ওয়ার্নের বিশ্ব একাদশ প্রথম উইকেট হারায় ৫৪ রানে৷ সেখান থেকে হঠাৎই ৫ উইকেটে ৬৮ হয়ে গিয়েছিল শেন ওয়ার্নের দলের৷ কিন্তু দলের নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরাও যে এমন সব মহান তারকা, যে অধিনায়কের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ ছিল না৷ ৫ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন যুবি৷ শেষ পর্যন্ত সচীনের বলে আউট হন ‘পাঞ্জাব পুত্তর’৷ যুবি আউট হওয়ার পর কলিংউড (৪০) এবং পিটার সিডল (৩৩) রান করে দলের রানকে পৌঁছে দিলেন ২৯৩-তে৷ এমসিসি-র হয়ে বল হাতে সফল পাকিস্তানের অফ-স্পিনার সাঈদ আজমল৷ ৪৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন তিনি৷ এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন ব্রেট লি৷

অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ ২৯৩/৭ (যুবরাজ সিং ১৩২, সাইদ আজমল ৪-৪৫)

এমসিসি একাদশ ৪৫.৩ ওভারে ২৯৬/৩ (ফিঞ্চ ১৮১*, সচীন ৪৪)