শনিবার, জুলাই ০৫, ২০১৪

সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হলে কাজের পরিবেশ ভালো হয়

আপনার সহকর্মী যদি হয় ঝগড়াটে, বদরাগী, খিটখিটে- তবে সেই সহকর্মীকে কিভাবে সামলাবেন

দিনের অনেকটা সময় আপনাকে কাটাতে হয় অফিসে, সহকর্মীদের সাথে। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হলে কাজের পরিবেশ ভালো হয়। সহকর্মীদের অনেকেই শুভাকাঙ্খী। ফলে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের পাশাপাশি ভালো সম্পর্কও গড়ে ওঠে। অনেক সময় কাজের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সাহায্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনার সহকর্মী যদি হয় ঝগড়াটে, বদরাগী, খিটখিটে- তবে সেই সহকর্মীকে সামলাবেন কিভাবে? কিভাবে বজায় রাখবেন সুসম্পর্ক? সেক্ষেত্রে এই উপায়গুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হয়তো আপনার কাজে লাগতেও পারে!সহকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে...

১. নেতিবাচক না হওয়াই ভালো

কোনো সহকর্মী যদি নেতিবাচক আচরণ করে আপনাকেও একই রকম আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার যদি এই রকম সহকর্মী থাকে, তবে তাদের আচরণে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক আচরণ না করাই ভালো। আপনার এই রকম আচরণের কারণে শত্রুও তৈরি হতে পারে। মনে রাখা উচিত, আপনি যদি কাউকে সম্মান দিতে না পারেন, আপনাকে কেউ সম্মান দেবে না। আর তাই প্রথম থেকেই ইতিবাচক হওয়ার চেষ্টা করুন সহকর্মীদের প্রতি।

২. সহকর্মীদের প্রতি সদয় হোন

আপনার সহকর্মীদের ওপর সদয় আচরণ করার চেষ্টা করুন। শ্রদ্ধা করতে শিখুন। আপনার মানবিক বোধ যদি ভালো থাকে সহকর্মীদের আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কেউ কোনো ভুল করলে বকা না দিয়ে হাসিমুখে বোঝানোর চেষ্টা করেই দেখুন না, হয়তো আপনার সহকর্মী বদলেও যেতে পারে।

৩. শান্ত থাকুন

সহকর্মীর আচরণে হঠাৎ রেগে গেছেন? প্লিজ শান্ত থাকুন। শান্ত হয়ে কথা বলুন। দু'জনেই রেগে গেলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে। এমনও তো হতে পারে, সহকর্মী আপনার শান্ত মুখ দেখে অনুশোচনায় ভুগছেন। ফলে এই রকম আচরণ সে আর নাও করে পারে।

৪. মন দিয়ে শুনুন

যদিও এটা খুবই কঠিন কাজ, তবুও সহকর্মীদের কথা আপনাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। আপনার সহকর্মীকে কথা বলার সুযোগ দিন। সে কি বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনুন। এমনও হতে পারে এতে আপনার সহকর্মী আপনার ও আপনার পুরো টিমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখবে।

৫. উপেক্ষা করুন

যে কোনো পরিস্থিতি জয় করার সব থেকে সহজ উপায় হলো সমঝোতা করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেটা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয়গুলো তাৎক্ষণিকভাবে উপেক্ষা করতে চেষ্টা করুন। সবসময় সবকিছু বলতেই হবে এমনতো কোনো কথা নেই। কাজের প্রতি মনোযোগ দিন। পরে কোনো এক সময় না হয় ধীরে-সুস্থে হাসিমুখে মাথা ঠাণ্ডা হলে বলবেন। সূত্র-আমেরিকানকি