অবশেষে পদত্যাগই করলেন ব্রাজিলের লুইস ফেলিপে স্কলারি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে লজ্জাজনক হারের পর প্রবল চাপে ছিলেন স্কলারি। আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩-০ গোলে হারের পর স্কলারির ওপর চাপ আরও প্রবল হয়। ব্রাজিলের সমর্থকরা স্কলারির দ্রুত বিদায় চাচ্ছিলেন। স্কলারি বলেছিলেন, ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশনই তার ভাগ্যের সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কনফেডারেশন বরখাস্ত কিংবা রেখে দেয়ার সিদ্ধান্তের আগেই স্কলারি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। তার পদত্যাগের খবর দিয়েছে ব্রাজিলের ‘গ্লোবো টিভি’। স্কলারির হাত ধরেই ২০০২ নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। পরে ব্রাজিলের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পর্তুগাল, ইংলিশ ক্লাব চেলসি, উজবেকিস্তানের একটি ক্লাব ও ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায় আবারও ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন তিনি। ধারাবাহিক সাফল্যও তিনি দেখাচ্ছিলেন। গত বছর ব্রাজিলকে কনফেডারেশন্স কাপ জেতান তিনি। নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপে শিরোপার জন্য হট ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে শিরোপার ‘হেক্সা’ মিশন সফলের স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু জার্মানির সামনে এসে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায় তাদের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বাছে ৭-১ গোলে হেরে বিদায় নেই ব্রাজিল। নিজেদের মাটিতে ৩৯ বছর ছিল তাদের এই হারটি। আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩-০ গোলে হেরে লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ করে ব্রাজিল। ১৯৪০ সালের পর নিজেদের মাটিতে টানা দুই ম্যাচ হারের তিক্ত স্বাদ পায় তারা। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১৪ গোল খাওয়ার বাজে রেকর্ডও হয় এবার। আর এতে স্কলারির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ব্রাজিলের সমর্থকরা। আর এরই জের ধরে ৬৫ বছর বয়সী স্কলারির পদত্যাগ। তবে স্কলারি দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেয়ার পর ব্রাজিল ২৯ ম্যাচের ১৯টিতে জয় পেয়েছে।