যে দেশে যে নামেই ডাকা হোক না কেন তেঁতুল দেখলে জিহ্বায় জল আসেনা এমন আছেন কেউ ।
নাই। যদিও বর্তমানে বাজারজাতকরনের পক্রিয়ার পরিবেশ দেখে তেঁতুলকে অনেকেই এড়িয়ে চলেন তবে তেঁতুল কিš ফেলনা নয়। টকের আধার হিসেবে তেঁতুলকে আমরা চিনলেও তেঁতুলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তেতুলের আদিস্থান সুদান বা দক্ষিন আফ্রিকার হলেও বাংলাদেশের কমবেশী সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক তেঁতুলের অবিশ্বাস্য কিছু পুষ্টিগুণের কথা।
তেঁতুল দেহে উ”চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী।
রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেঁতুল।
পেটে গ্যাস, হজম সমস্যা, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী।
গর্ভাবস্থায় বমি বমি বমি ভাব দূর করে।
তেঁতুল পাতার ভেষজ চা ম্যালেরিয়া জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
শিশুদের পেটের কৃমিনাশকে তেঁতুল বেশ উপকারী ।
তেঁতুল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পাইলস্ চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়।
মুখে ঘাঁ ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে।
তেঁতুল রক্ত পরিস্কার করে।
বাত বা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা কমায়।
ভিটামিন সি-এর উৎস।
পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে।
পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি।
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি।
আর আয়রনের পরিমাণ নারকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলের পুষ্টিমান:
ক্যালরি ২৩৯, আমিষ বা প্রোটিন – ২.৮, শর্করা – ৬২.৫ গ্রাম, ফাইবার – ৫.১ গ্রাম, চর্বি – ০.৬ গ্রাম, ফসফরাস - ১১৩ মিলিগ্রাম, লৌহ – ২.৮২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম - ৭৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি - ২ মিলিগ্রাম, মিনারেল বা খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, ভিটামিন বি – ০.৩৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম - ৬২৮ মি:লি, ভিটামিন ই – ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম, সেলেনিয়াম – ১.৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম - ২৮ মিলিগ্রাম, দস্তা – ০.১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম - ৯২ মিলিগ্রাম, এবং তামা – ০.৮৬ মিলিগ্রাম।