বৃহস্পতিবার, জুলাই ০৩, ২০১৪

ভারতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ও ভিসার মেয়াদ শেষেও যারা থেকে গিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ডিটেনশন সেন্টারে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজ্যে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে বিশেষ ডিটেনশন সেন্টার। দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই ডিটেনশন সৈন্টার তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ ও জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়িতে তৈরি হবে এই ডিটেনশন সেন্টার। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর যে সব বাংলাদেশি থেকে  গেছেন তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর কিছু পদ্ধতিগত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে ছয় মাসের বেশি জেলে রয়েছে এমন বাংলাদেশির সংখ্যাও জানাতে বলা হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর যে ঘোষণা নির্বাচনের সময় বিজেপির নেতারা দিযেছিলেন সেই কাজ মোদী সরকার শুরু করে দিয়েছে। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর ধরে নিয়েই তা করা হচ্ছে খুব ধীর গতিতে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত করার জন্য জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী তৈরির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যে সব রাজ্যে এই জনসংখ্যাপঞ্জী তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে সেই সব রাজ্যকেও আরেকবার তা ভালভাবে যাচাই করে দেখতে বলা হযেছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে  ডিটেনশন সেন্টারে সব বাংলাদেশি বন্দীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর তাই দ্রুত ডিটেনশন সেন্টার তৈরির জন্য পূর্ত বিভাগকে তাগিদ দেওয়া হযেছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলিতে (১লা মে পর্যন্ত) ৩৩১৪ জন বাংলাদেশি বন্দী রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫১ জন সাজার মেয়াদ শেষ করার পরেও জেলে থেকে গিযেছেন। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি নানা আইনি জটিলতার জন্য। এছাড়া জেলে রয়েছে ৯৮৮ জন সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি এবং ১৫০৯ জন বিচারাধনি বাংলাদেশি। এই সব বন্দীদের সঙ্গে জেলে রয়েছে ১৬৬ জন শিশুও। জানা গেছে, সরকার বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় জেলে একবছরের বেশি সময় থাকা বাংলাদেশি বন্দীদেও ফেরত পাঠানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।